‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার ফেরালেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন!

রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার নিচ্ছেন না নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। এখন দেশে ফিরছেন না অমর্ত্য সেন, জানানো হল পরিবার সূত্রে। কিন্তু কী কারণে ‘বঙ্গবিভূষণ’ (Banga Bibhushan) পুরস্কার নিচ্ছেন না, সেই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি পরিবারের তরফে।

সোমবার রাজ্য় সরকারের তরফে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান প্রদানের আয়োজন হয়েছে। অমর্ত্য সেনের পাশাপাশি নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhijit Vinayak Banerjee) সম্মান প্রদানের কথা। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগে, অমর্ত্যর পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে, তিনি রাজ্য় সরকারের সম্মান নিচ্ছেন না। তিনি বিদেশে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ভার্চুয়াল মাধ্যমেও তো সম্মানগ্রহণ করা যেত! তাই সম্মান এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

অমর্ত্যর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নমানা জল্পনা সামনে আসছে। কারণ এসএসসি দুর্নীতি মামলায়, একদিন আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে নগদে ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ, ৭৬ লক্ষ টাকার গহনা। তার পরই অমর্ত্য  এবং অভিজিৎ বিনায়কদের বঙ্গবিভূষণ সম্মান বয়কট করার ডাক দেন সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তার পরই অমর্ত্য বঙ্গবিভূষণ নিচ্ছেন না বলে তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়। যদিও এর কারণ খোলসা করেননি তাঁরা।

শুধুমাত্র অমর্ত্য সেন বা অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, কৌশিক বসু, দেবশঙ্কর হালদার-সহ প্রথিতযশাদের কাছেও রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান প্রত্যাখ্যানের আর্জি জানান সুজন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “রাজ্য সরকার কলুষিত, তাদের দেওয়া সম্মান বয়কট করুন।” চিঠি লিখে বিশিষ্টদের কাছে আবেদন করেন সিপিএম নেতা সুজন। 

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর গ্রেফতারির পর পথেও নেমেছে সিপিএম। ‘চোর ধরো, জেলে ভরো’ স্লোগান তুলে এ দিন বীরভূমের কীর্ণাহর শহর পরিক্রমা করে মিছিল। মিছিলের শেষে পথসভার আয়োজন করা হয়। মিছিলে পা মেলান নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক ও সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য শ্যামলী প্রধান-সহ নেতা, কর্মীরা।