রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিকের নিয়োগের ইন্টারভিউ শুরু। কিন্তু তার আগে মামলার জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। শেষ মুহূর্তে প্যারা টিচার নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউর উপর স্থগিতাদেশ নয়। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷ তবে তাঁদের নিয়োগের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে মূল মামলার রায়ের উপরই। সাফ জানাল ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার যে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছিল তাতে বলা হয়েছিল, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্যারা টিচারদের পৃথকভাবে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ থাকছে। আপার প্রাইমারির প্যারা টিচাররা কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন৷ তাঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত৷ তাই তাঁরা প্যারা টিচারের যে কোন অংশে পরীক্ষায় বসতে পারে৷ সেইমতো গত ২১ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাইমারি আপার প্রাইমারি প্যারা টিচারদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ থাকবে না৷
সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন প্রাইমারি প্যারাটিচাররা। তাঁদের বক্তব্য, যাঁরা আপার প্রাইমারি প্যারা টিচার তাঁরা সমস্ত পরীক্ষায় বসতে পারবে কিন্তু যাঁরা প্যারা টিচার তাঁরা সব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। মামলার শুনানির সময় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী নির্দেশনামা দিয়েছেন। আগামী ১০ই জানুয়ারি মামলার ভবিষ্যতের পরে নির্ভর করবে নিয়োগপত্রের ভবিষ্যৎ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১০ জানুয়ারি।