শারদোৎসবে এনএমবিএ’র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মহারাষ্ট্রের ভাশিতে অবস্থিত নভি মুম্বই বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন (এনএমবিএ) বাঙালিদের একটি বিশিষ্ট সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। তারা এবছর ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর শারদোৎসব (দুর্গাপূজা ও দশেরা) উদযাপনের জন্য পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ভাশির সিডকো একজিবিশন সেন্টারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি ৫০০,০০০ জনেরও বেশি পুণ্যার্থীকে আকৃষ্ট করবে বলে আশা করা হচ্ছে।এনএমবিএ’র শারদোৎসব আধ্যাত্মিকতা ও উত্সবের উত্সাহ নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের মুগ্ধ করে, যেখানে বাঙালি কারিগর, সারা দেশের হস্তশিল্পী এবং কলকাতা ও বলিউডের সেলিব্রিটি শিল্পীরা উপস্থিত থাকেন। সদিচ্ছার নিদর্শন স্বরূপ, এনএমবিএ আগত দর্শনার্থীদের তিন দিন বিনামূল্যে ‘ভোগ’ সরবরাহ করবে, যা সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং দেশের প্রতি ভালবাসার প্রতিফলন।

এনএমবিএ’র ম্যানেজিং কাউন্সিল এবারের কার্নিভালের থিম নির্ধারণ করেছে ‘ভালোবাসা- জীবনের নতুন ভোর’। এই থিমটি প্রবীণ নাগরিকদের কল্যাণের জন্য এনএমবিএ’র দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ‘ভালবাসা- অ্যাসিস্টেড লিভিং ফর সিনিয়র সিটিজেনস- অ্যান ওল্ড এজ হোম’-এর উপর গুরুত্ব প্রদান করে। তারা এই উদ্যোগের প্রতি তাদের প্রথম পদক্ষেপ ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত এবং একে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করেন।

১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত এনএমবিএ সক্রিয়ভাবে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উদ্যোগ এবং জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করে ভ্রাতৃত্ব, বিশ্বাস ও অগ্রগতির অনুভূতিকে উত্সাহিত করে চলেছে। এনএমবিএ মহারাষ্ট্র পাবলিক ট্রাস্ট অ্যাক্টের অধীনে নিবন্ধিত একটি চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশন। তারা শারদোৎসব থেকে প্রাপ্ত অর্থ তাদের দাতব্য কার্যক্রমে ব্যয় করেন। এনএমবিএ ‘দ্য হোম ফর ক্যান্সার পেশেন্টস’ নামে একটি বড় প্রকল্পও পরিচালনা করেন, যা মুম্বইয়ে চিকিত্সাধীন ক্যান্সার রোগীদের আশ্রয়, খাবার, মেডিক্যাল এইড এবং সহায়তা দিয়ে থাকে।