বছর প্রায় শেষের পথে, মাঝে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। এরই মাঝে আবার চিনে নতুন করে যেভাবে করোনা মাথাচাড়া দিয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। ২০১৯ সালের পর থেকে কী কী হয়েছে তা কেউ ভোলেনি। তলিয়ে দেখা গিয়েছে, আগের দুই কোভিড তরঙ্গ পূর্ব এশিয়ায় আঘাত হানার ৩০-৩৫ বাদে ভারতে আঘাত হেনেছে। তাই কেন্দ্র মনে করছে, আগামী ৩৫-৪০ দিন দেশের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক মনে করছে, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতে বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণ এবং তা যে আরও একটি ঢেউ নিয়ে আসতে পারে সেই সম্ভাবনাও অবজ্ঞা করা যায় না। যদিও এটাও আশা করা হচ্ছে, এবার পরিস্থিতি একদমই খারাপের দিকে যাবে না বা সঙ্কটজনক হবে না। তবুও দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র এবং একই সঙ্গে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
তবে জানা গিয়েছে, মাত্র ২ দিনেই বিদেশ থেকে ভারতে আসা ৩৯ জন বিমানযাত্রী কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। দেশের কোভিড পরিস্থিতি যে আগের মতো খারাপ পর্যায়ে যেতে পারে তার একটি আশঙ্ক আছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন তেমনটা হবে না কারণ, দেশের মানুষের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি আছে এবং অধিকাংশ মানুষ টিকাও নিয়েছেন। কিন্তু মাত্র ২ দিনে এতজন মানুষের কোভিড পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক বৃদ্ধি করছে।