বারোদিনের লড়াই শেষ করে অবশেষে প্রাণ হারিয়েছে নির্যাতিতা। এবার হাঁসখালি ঘটনায় এল চাঞ্চল্যকর মোড়। মূল অভিযুক্ত ব্রজ গোয়ালার বাবা তথা তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত সমরেন্দু গোয়ালাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমরেন্দু এবং তার স্ত্রীকে তলব করে সিবিআই। ছেলের সামনে বসিয়েই তাদের জেরা করা হয়। পরে সমরেন্দুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে পেশ করা হবে সমরেন্দুকে। ঘটনার পর থেকে নদিয়ার বগুলায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন সমরেন্দু। খবর পেয়ে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে তলব করেন।
এদিন বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয় তাদের সকলকে একসঙ্গে বসিয়ে। নির্যাতিতাকে ব্রজগোপাল নিজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কিনা, ঘটনার সময় সমরেন্দু এবং তাঁর স্ত্রী কোথায় ছিলেন, নির্যাতিতার দেহ দাহ করার সময় কারা উপস্থিত ছিলেন প্রভৃতি। এর আগে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাদের জালে ধরা পড়ল এই তৃণমূল নেতা তথা মূল অভিযুক্তের বাবা। আগেই সিবিআই জানিয়েছিল, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার আগে তাকে গাঁজা সহ অন্যান্য মাদক খাওয়ানো হয়েছিল। তার পর তাঁকে তিন জন ধর্ষণ করে। ভোরবেলা বাড়ি ফেরার পর তার যৌনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। তারপরেই সে মারা যায়। অভিযোগ, অভিযুক্তদের চাপে ময়নাতদন্ত বা ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই নিকটবর্তী শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় নির্যাতিতার।
অন্যদিকে হাঁসখালি কাণ্ড নিয়ে আগেই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্পষ্ট জানান হয়েছে, হাঁসখালি নির্যাতিতার পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। আদালতের নির্দেশ, সুপ্রিম কোর্টের ২০১৮ সালের ‘সাক্ষী নিরাপত্তা স্কীম’-এর নির্দেশ যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করতে হবে। যত দিন না তাই করা যাচ্ছে ততদিন রাজ্যেকে নির্যাতিতার পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যকে দায়িত্ব নিতে হবে পরিবারের মানসিক সুস্থতার এবং কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করার।