দেশ জুড়ে নতুন আশঙ্কা

একে করোনা সংক্রমণ, অন্যদিকে বাড়তে থাকা মূল্য বৃদ্ধিএরই মাঝে আশঙ্কা বাড়ছে নতুন সংকটের।  বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়ে বড় সঙ্কট তৈরি করবে শীঘ্রই। আবার এই রকম একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে দেশের মানুষকে। এমনই সতর্কবার্তা ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে অর্থাৎ জুলাই মাস নাগাদ এই সঙ্কট হতে পারে দেশজুড়ে। তাই এই আবহে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক কয়লা আমদানির ওপর জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলেই জানা গিয়েছে।

বিদ্যুৎ সঙ্কট যদি সৃষ্টি হয় তবে যে রাজ্যে তা হবে সেই রাজ্যের প্রশাসন তার জন্য দায়ি থাকবে বলে কেন্দ্র এখনই স্পষ্ট করে দিয়েছে। কারণ বলা হচ্ছে, বেশিরভাগ রাজ্যগুলি বরাদ্দকৃত কয়লা উত্তোলনে বিলম্ব করেছে। এদের মধ্যে রয়েছ মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, এমনকি বাংলাও। কেন্দ্র এখন থেকে পরামর্শ দিচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্লান্টগুলিকে কয়লা আমদানির পরিমাণ বাড়াতে। কিন্তু একাধিক রাজ্যের থেকে সেইভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলেই দাবি। তাই আগামী দিনে বিদ্যুৎ সঙ্কট হলে নির্দিষ্ট রাজ্যকেই দায়ি করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই রাজ্যগুলিকে সময় মতো কয়লা মজুত রাখতে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্পষ্ট জানান হচ্ছে, পরিমাণ মতো কয়লা মজুত না রাখলে বিদ্যুৎ সঙ্কটের সময়ে নাজেহাল অবস্থা হতে পারে।

মনে রাখা ভাল, গত বছর ৭ জুলাই দেশে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। সেদিন সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২ লক্ষ ৫৭০ মেগা ওয়াট। সেই রেকর্ড এ বছর ২৯ এপ্রিল ভেঙে যায় কারণ সেদিন সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২ লক্ষ ৭ হাজার ১১১ মেগাওয়াট। তবে আগামী মাস গুলিতে সঙ্কট যে আরও বিরাট পরিমাণ হতে পারে তা ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা হতে পারে প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত।