বিগত কয়েক মাস ধরে বহু বিক্ষোভের পরেও বদল হয়নি কৃষি আইনের। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন যে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রেক্ষিতে অধিবেশন শুরু হলেই এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করবে সরকার। আজ সেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল লোকসভায়। যদিও বিরোধীদের আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হল।
এদিন অধিবেশন শুরু হতেই কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবিতে হই হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। কিন্তু তাদের আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয় এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। আসলে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ হওয়াতে ওয়েলে নামে এসে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী পক্ষ যদিও তারপরে লোকসভা অধিবেশন কয়েক ঘণ্টার জন্য মুলতবি করে দেওয়া হয়। এরপর আবার যখন অধিবেশন শুরু হয় তখন কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। সঙ্গে সঙ্গেই ধ্বনি ভোটে তা পাশ হয়ে যায়।
এরপরে জানানো হয় যে এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করা হবে রাজ্যসভায়। প্রধানমন্ত্রী যেদিন ঘোষণা করেছিলেন এই বিল প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে সেদিন থেকে এখনও পর্যন্ত অবস্থান-বিক্ষোভ বহাল রেখেছে কৃষকরা। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল যে যতক্ষণ না আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিল প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এখন মনে করা হচ্ছে কৃষক আন্দোলন আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সমাপ্ত হতে চলেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত ছিল, কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথায় বিশ্বাস করছেন না। সেই কারণেই তারা আন্দোলন তুলতে চাননি। এখন সংসদে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার হয়ে গেলেই তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসবেন। আপাতত লোকসভার এই খবরে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত কৃষকরা।