সংক্রমণকে রুখতে নতুন পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের তরফে

কমছে বাড়ছে, বিগত দু বছরের বেশি সময় ধরে এই চলেছে করোনা সংক্রমণের গ্রাফে। ফের দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনার বাড়বাড়ন্ত। একদিকে যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, অন্যদিকে তেমনই উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে দেশে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।

এমতাবস্থায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বুস্টার ডোজের নিয়ম বদল করল কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন পর্যন্ত করোনার দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ৯ মাস পরে নেওয়া যেত করোনার বুস্টার ডোজ। কিন্তু নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, করোনার দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ৬ মাস পরেই বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে।

আজ থেকেই দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের উপর লাগু হচ্ছে এই নতুন নিয়ম। এই নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন’ থেকে আসা পরামর্শের ভিত্তিতে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ১০ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রের নির্দেশেই বেসরকারি সেন্টারগুলিতে শুধু হয়েছে বুস্টার ডোজ দেওয়া। ৬০ ঊর্ধ্ব এবং প্রথম শ্রেণির করোনাযোদ্ধাদের বিনামূল্যে বুস্টার ডোজও দেওয়া হলেও অন্যদের টিকার এই ডোজ তাকার দিয়েই কিনতে হচ্ছে। যদিও করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় টিকার থেকে বেশ কিছুটা কম বুস্টার ডোজের দাম। দেশের মানুষকে এই ডোজ নেওয়ার আগ্রহ বাড়াতে চলতি বছরের প্রথমের দিকেই বুস্টার ডোজের দাম বেঁধে দেয় সরকার।

অন্যদিকে কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত একদিনে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমনের হার এক ধাক্কায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রের তথ্য জানাচ্ছে, এদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬,১৫৯। এদিকে করোনার দৈনিক আক্রান্ত এবং অ্যাক্টিভ কেসের মতোই এদিন বৃদ্ধি পেয়েছে দৈনিক মৃত্যুও। জানা যাচ্ছে গত একদিনে দেশে করোনার বলি হয়েছেন আরও ২৮ জন।

অ্যাক্টিভ কেস তথা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও ৭৩৭ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশজুড়ে করোনার মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে  ১ লক্ষ ১৫ হাজার ২১২। করোনার এই বাড়বাড়ন্ত রুখতে এই মুহূর্তে অন্যতম বড় হাতিয়ার কোভিড টিকা তথা বুস্টার ডোজ। অথচ এই টিকা নিয়ে সম্প্রতি মানুষের মনে যে উদাসীনতা তৈরি হয়েছে সেকথা দিন কয়েক আগে জানিয়েছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর তাই বুস্টার ডোজ যাতে প্রাপ্তবয়স্করা নিতে পারেন এবং এক্ষেত্রে কোনও বিলম্ব না হয় সেজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে এমনটাই।