গোটা দেশ জুড়ে হুঁ হুঁ করে ছরাচ্ছে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা৷ দেশের প্রতিটি প্রান্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ৷ করোনা গ্রাফ দেখে বাড়ছে উদ্বেগ৷ এই পরিস্থিতিতে কখন কোভিড পরীক্ষা করা উচিত, আর কখন নয়, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে সাধারণ মানুষ৷ এই ধন্দ দূর করতে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ সেই সঙ্গে নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে কখন, কাদের নিভৃতবাস বা হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন রয়েছে৷
চলতি সপ্তাহেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর পরামর্শে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কোভিড পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনার উপসর্গ থাকলেই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটা জরুরি।
এছাড়াও বলা হয়েছে ৬০ উর্ধ্ব ব্যক্তি এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কোভিড রোগীর সংস্পর্শে এলে অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে৷ তাঁদের মধ্যে উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজনীয়। ঝুঁকিপূর্ণ রোগের তালিকায় রয়েছে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ফুসফুস-লিভার-কিডনির সমস্যা, স্থূলত্ব জনিত সমস্যা৷ নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যাঁরা সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী নিভৃতবাস পালনের পর বাইরে বেরোবেন তাঁদের আর পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই৷
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন করোনা আক্রান্ত রোগীদের হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে৷ মৃদু উপসর্গের তালিকায় রয়েছে, জ্বর, শুকনো কাশি, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হওয়া, ডায়ারিয়া, দুর্বলতা, স্বাদ-গন্ধ হারানোর মতো লক্ষণগুলি। সিস্টোলিথ রক্তচাপ ১০০-র সামান্য বেশি কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের হার মিনিটে ২৪-এর কম হলেও তা মৃদু উপসর্গের তালিকাভুক্ত হবে। যাঁদের কোমর্বিডিটি আছে, সেই সকল ব্যক্তিদের বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে ৭ দিনের বেশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড কাশি থাকলে, সেই সঙ্গে ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া, বুকে ব্যথা, আচ্ছন্নভাব বা অস্থিরতার মতো উপসর্গগুলি দেখা দিলে তা ‘বিপজ্জনক’ বলে চিহ্নিত হবে৷ এক্ষেত্রে সিস্টোলিথ রক্তচাপ ১০০-র কম, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের কম এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের হার মিনিটে ২৪-এর বেশি থাকলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷