দিন প্রতিদিন জনবসতি বেড়ে চলেছে চিনে। প্রাথমিক ভাবে দেখতে গেলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হল চিন। যদিও তা কতদিন থাকবে সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ সাম্প্রতিক যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, গত ছয় দশকে এই প্রথমবার চিনের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে কমে গিয়েছে সেদেশের লোকবল।
২০১৯ সালের পর থেকে গোটা দেশ কার্যত কোভিড বিধ্বস্ত। শেষ কয়েক মাসে আবার সংক্রমণের বাড়াবাড়ি দেখা দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, চিনের এই জনসংখ্যা হ্রাসের পিছনে আছে কোভিডের হাত! শেষ তিন বছরে করোনায় বহু মানুষের মৃত্যু দেশের জনসংখ্যায় প্রভাব ফেলেছে। হয়তো মৃত্যুর তুলনায় বেশি সংখ্যক জন্ম হয়নি কোভিড কালের চিনে। তাই এই সঙ্কোচন দেখা দিয়েছে মানুষের সংখ্যায়। আর এর জন্যই দেশের অর্থনীতিতে পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেখা গিয়েছে, চিনে কাজকর্মে সক্ষম, এমন মানুষের সংখ্যাও কমছে।
সম্প্রতি বেজিংয়ের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্স একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২২ সালের শেষে চিনের মোট জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ১৭ লক্ষের কিছু বেশি। কিন্তু তা ২০২১ সালের জনসংখ্যার থেকে প্রায় ৮ লক্ষ কম। এই একই রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে চিনে জন্মগ্রহণ করেছে প্রায় ৯৬ লক্ষ শিশু। তবে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি।