একের পর এক বিদেশ সফর বাতিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর৷ এর আগেও বহুবার বাতিল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ সফর ৷ এবারেও মুখ্যমন্ত্রীর নেপাল সফরে অনুমতি দিল না কেন্দ্র৷ যাঁর জেরে নেপাল সফর বাতিল করতে হল তাঁকে৷ এ প্রসঙ্গে নবান্ন বা তৃণমূলের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি৷
জানা গিয়েছে নেপালের প্রথম সারির রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের বার্ষিক কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে৷ অনুমতি পেলে ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর সেদেশেই কাটাতেন তিনি৷ নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা চিঠি নিজে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷ এর পরেই কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠায় নবান্ন৷ আজই সেই চিঠির জবাব এসে পৌঁছায়৷
তাতে বলা হয়, এই মুহূর্তে নেপাল যাওয়ার অনুমতি পাবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এও প্রশ্ন তোলা হয়, কোন যুক্তিতে একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিদেশের কোনও রাজনৈতিক দল আমন্ত্রণ জানাল? নবান্নের তরফে এর উত্তর দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু এর পরেও অনুমতি মেলেনি৷ প্রসঙ্গত, এর আগে ইতালি থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে৷ সেই সময়েও বিদেশ মন্ত্রক অনুমতি দেয়নি৷ অনুমতি পাননি চিন সফরেরও৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, নেপাল কার্যত চিনের ‘অঙ্গরাজ্য’ হয়ে গিয়েছে৷ বেজিয়েংর উস্কানিতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সীমান্ত বিবাদেও জড়িয়েছে কাঠমান্ডু৷ লাদাখ সঙ্ঘাতের পর চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে আরও ‘অবনতি’ হয়েছে৷ এই সকল কারণেই সম্ভবত মমতার নেপাল সফরে অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ প্রসঙ্গত, এর আগে রোম সফরেও অনুমতি পাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বলা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এই সফর ‘সঙ্গতিপূর্ণ নয়’৷ জানা গিয়েছিল, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে পাঠানো সংক্ষিপ্ত চিঠিতে বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর রোম সফরের প্রয়োজন নেই।