অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় অবহেলা, স্পেশাল ড্রাইভের বার্তা এনবিএসটিসি’র

কোনও কোনও সরকারি বাসে রয়েছে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। কিন্তু তার মেয়াদ ফুরিয়েছে। কোনও বাসে আবার নির্দিষ্ট জায়গায় যন্ত্রটা নেই। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও সময় বাসে আগুন লাগলে বড় ধরনের বিপত্তি ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে চিন্তিত খোদ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের  অন্দরমহল । ইতিমধ্যে কোচবিহারে নিগমের দুটি বাসে আগুন লাগার ঘটনা আরও বেশি করে ভাবিয়ে তুলেছে নিগম কর্তৃপক্ষকে। এমতাবস্থায় কোন বাসে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রয়েছে, থাকলে সেটা মেয়াদ উত্তীর্ণ কি না, কোনটায় নেই এই সমস্তকিছু সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করতে স্পেশাল ড্রাইভের পরিকল্পনা করেছেন নিগমের কর্তারা। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের বিষয়টিতে যে যথেষ্ট খামতি রয়েছে, তা স্বীকারও করেছেন পদস্থ কর্তারা। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাই বলছেন, ‘কখন কোন বাসে হঠাৎ করে আগুন লেগে যাবে সেটা তো কেউ জানে না। সেক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রটা বিশেষভাবে প্রয়োজন। আমরা এব্যাপারে স্পেশাল ড্রাইভ শুরু করছি।’

১০ বছর আগে এনবিএসটিসি’র বাসগুলোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। পুরোনো বাসগুলো বদলে ফেলে জওহরলাল নেহরু আরবান রিনিউয়াল মিশনের অত্যাধুনিক বাস চালানো শুরু হয়। প্রতিটি বাসে দেওয়া হয় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। যন্ত্রটি রাখা হয় বাসের একটি নির্দিষ্ট জায়গায়। কিন্তু পরে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের দিকে আর বিশেষ নজর দেওয়া হয়নি। এমনকি শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে দাঁড়িয়ে থাকা সরকারি বাসে উঠলে দেখা যাবে, একটা বড় অংশের বাসে যন্ত্রটাই নেই! রবিবার এ নিয়েই কথা হচ্ছিল সরকারি বাসের নিত্যযাত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ইলেক্ট্রনিক বাসে এখন আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখাটা সবসময় প্রয়োজন। কিন্তু অধিকাংশক্ষেত্রেই বাসে উঠে দেখা যায় সেরকম কোনও ব্যবস্থা নেই।’ নিগমের বাম প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য তুফান ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘নিগমের বোর্ডের কাছে অনুরোধ করব এই বিষয়গুলো দেখার জন্য। এগুলো দেখভালের দায়িত্ব বোর্ডেরই। আমরা এর আগেও ব্যাপারটা দেখার জন্য বোর্ডের কাছে অনুরোধ করেছি। রাস্তাঘাটে কোনওভাবে আগুন লেগে গেলে তখন তো আপৎকালীন হিসেবে এই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রটাই ভরসা ।