শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় পুরোপুরি ভাবে জর্জরিত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এই পরিস্থিতিতে জেল বন্দী প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব এবং অফিসার অন স্পেশাল ডিউটিকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়েছে।
কর্মী বর্গ এবং প্রশাসনিক সংস্কার দফতর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক সুকান্ত আচার্য এবং অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়কে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে।
এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে তদন্ত চলাকালীন সুকান্ত ও প্রবীর দু’জনেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে ছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিবকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা ছাড়াও ইডি তাঁর বাড়িতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আপাতত রয়েছেন জেলে। সেই আবহেই তাঁদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল নবান্ন। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় তাঁর ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন সুকান্ত আচার্য। পরিষদীয় দফতরে পার্থর ওএসডি বা অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি ছিলেন প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। ইডি আদালতের কাছে জেল হেফাজতের দাবি করেছিল দুজনের। তাঁদের দাবি মেনেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পার্থর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, যা উদ্ধার হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে, এতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। তাছাড়া ঘুষ দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় চাকরি দিয়েছেন এমন কেউই বলেনি এখনও। এর কোনও প্রমাণও নেই। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া যায়। কিন্তু আদালত তাঁদের দুজনকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।