নারায়ণ সেবা সংস্থা, শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডের শিবম প্যালেসে একটি নারায়ণ লিম্ব অ্যান্ড ক্যালিপার্স ফিটমেন্ট ক্যাম্পের আয়োজন করে, যেখানে ১৬০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বিনামূল্যে হয়ছে। সংস্থা কৃত্রিম অঙ্গ এবং ক্যালিপার প্রদান করে তাদের জীবন বদলে দিয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ১৫টিরও বেশি স্থানীয় সংগঠন অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণ করার জন্য সংস্থা এদের প্রশংসাপত্রের সাথে সম্মান জানায়। একইসাথে এখানে বিধায়ক ডঃ শঙ্করলাল ঘোষ এবং এসডিও আইএএস অবধ সিংহল, সিআরপিএফ মেডিকেল ডিআইজি বিনোদ কুমার, উত্তরবঙ্গ মাড়োয়ারি সেবা ট্রাস্টের সভাপতি গঙ্গাধর নকিপুরিয়া এবং সমাজসেবী মুকেশ কুম্ভাতের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণ সেবার এই প্রশংসনীয় কাজের ব্যাপারে বলতে গিয়ে ডঃ ঘোষ বলেন যে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবারও নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম করার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে অত্যন্ত ধন্যবাদ। সংস্থার সেবা কেবল তাদের জীবনই বদলাচ্ছে না বরং সমাজকে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করছে।
আইএএস অবধ সিংহল বলেন, “রাজস্থান থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত নারায়ণ সেবা সংস্থার পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ। আপনাদের উদ্যোগ প্রকৃতই অনুপ্রেরণামূলক।” প্রতিষ্ঠানের ৫০ সদস্যের দল সফলভাবে এই শিবিরটি পরিচালনা করেছে, যেখানে ১৩০ জনকে নারায়ণ কৃত্রিম অঙ্গ এবং ৩০ জনকে ক্যালিপার দিয়ে সহায়তা করেছে। সুবিধাভোগীরা তাদের নতুন কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রদর্শনের জন্য একটি কুচকাওয়াজ আয়োজন করেন। শিবিরের তত্ত্বাবধান করেন অচল সিং ভাটি, যিনি মেওয়ারি স্টাইলে সকল বিশিষ্ট অতিথিদের স্বাগত জানান।
কৈলাস মানব ১৯৮৫ সালে নারায়ণ সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেন, যা “মানব সেবাই নারায়ণ সেবা” নীতিতে পরিচালিত। মানব কল্যাণ সংস্থার জন্য তিনি পদ্মশ্রী পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। প্রশান্ত আগরওয়ালের নেতৃত্বে, এখনও পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসা, শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে সাহায্য করেছে। বর্তমানে, এই প্রতিষ্ঠানটি বিনামূল্যে কৃত্রিম অঙ্গ প্রদানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবন্ধীদের থমকে পড়া জীবনকে পুনরায় ট্র্যাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করছে।