গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী, কিন্তু তার জন্য পূজায় কোনো প্রভাব পড়বে না জানিয়ে দিলেন নাকতলা পূজা কমিটি

পার্থ ও অর্পিতা গ্রেফতারের পর থেকেই বারংবার প্রশ্ন উঠেছিল নাকতলার পূজা নিয়ে। এবার সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়ার পরেই মুখ খোলে নাকতলা উদয়ন সংঘ দুর্গাপুজো কমিটি। কমিটির তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই পুজোর সঙ্গে পার্থবাবুর ব্যক্তিগত কোন সম্পর্ক নেই।

ফলে বর্তমান আইনি জটিলতার কোন প্রভাব আগামী পুজোর ওপর পড়বে না। এর সঙ্গেই পুজো কমিটির চেয়ারম্যান আরও জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আগেও নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো জাঁকজমকভাবে হত, এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না।

তবে মুখে যাই বলা হোক না কেন সাম্প্রতিককালে নাকতলা উদয়ন সংঘের দুর্গাপুজো পরিচিত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পুজো হিসেবেই। আর সেই পার্থই বর্তমানে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডির হেফাজতে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুজোর উদ্যোক্তারা যে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছেন তা বলাই বাহুল্য।

তবে পুজোর আর বেশি দিন বাকি নেই। হাতে মাত্র ৬৫ দিন। তারপরেই ঢাকে কাঠি পড়বে। এমতাবস্থায় সামনে এল নাকতলা উদয়ন সংঘের এই বছরের পুজো পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি। জানা যাচ্ছে নাকতলা উদয়ন সংঘের এই বছরের থিম রাজ্যের হস্তশিল্প।

গোটা পুজো মণ্ডপই সাজানো হচ্ছে হ্যান্ডলুমের তাঁতের কাপড় দিয়ে। রাজ্যের তাঁত শিল্পকে তুলে ধরার চেষ্টা কড়া হবে এই পুজোর মাধ্যমে। ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বর্তমানে তাঁতের উপর জোর দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। সেই ভাবনাই ফুটে উঠবে নাকতলার মণ্ডপে।

ফলে রাজ্য সরকার কিংবা সরকারের মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ নেই একথা যতই বলুক পুজো উদ্যোক্তারা, বিড়ম্বনা একটা থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে আবার প্রতিবছরই এই পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বলাই বাহুল্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসা হয় পুজো মণ্ডপে। কিন্তু কিছুটা ব্যতিক্রম এই বছর। ফলে প্রতিবারের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুজোর উদ্বোধন করবেন কিনা তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

জানা যাচ্ছে, এই বছর নাকতলা উদয়ন সংঘের মণ্ডপ শয্যার দায়িত্বে রয়েছেন প্রদীপ দাস। তাঁর পরিকল্পনাতেই চলছে প্রস্তুতি। গত এক জুলাই রথযাত্রার দিন খুঁটি পুজো করে শুরু হয়েছে এই পুজোর আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি। অন্যদিকে এই বছর অন্যবারের তুলনায় আরও কিছুটা জাঁকজমকভাবেই পালিত হতে চলেছে কলকাতা দুর্গাপুজো। কারণ আগের বছর ইউনিসকো থেকে স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব।