বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে দেশ ও রাজ্য জুড়ে জরুরি হয়েছে একাধিক কড়া বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধ জারি হয়েছে ভ্রমণেও৷ করোনার নয়া প্রজাতি অতি সংক্রামক ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত রুখতে বিধির অন্ত নেই৷ এবার আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের ক্ষেত্রেও লাগু হল বিধিনিষেধে৷ ভ্রমণের ক্ষেত্রে আজ মঙ্গলবার থেকে নয়া গাইডলাইন জারি করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (আইসিএমআর)। তৃতীয় দফায় করোনা মাথাচাড়া দিতেই বিদেশ ফেরত যাত্রীদের জন্য নিয়মবিধি জারি করা হয়েছিল। আজ থেকে চালু হল নতুন নিয়ম৷ দেখে নিন, বিদেশ ফেরত যাত্রীদের এবার থেকে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে।
• অনলাইন পোর্টাল ‘এয়ার সুবিধা’য় একটি সেলফ-ডিক্লারেশন ফর্ম ফিলাপ করতে হবে যাত্রীদের। বিমান ধরার ৭২ ঘণ্টা আগে RT-PCR টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ থাকাটা বাধ্যতামূলক।
• বিদেশ থেকে যাত্রীবোঝাই বিমান অবতরণের পরেই প্রত্যেক যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। তার পর সেই তথ্য লিখিত আকারে জমা দিতে হবে বিমানবন্দরে থাকা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে।
• বিদেশ থেকে আসা সকল যাত্রীকে ৭ দিনে বাধ্যতামূলক ভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে৷ অষ্টম দিনে নতুন করে কোভিড টেস্ট হবে৷ প্রাথমিক রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলেও দ্বিতীয়বার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। পরীক্ষার ফলাফল আপলোড করতে হবে অনলাইন পোর্টালে।
• বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে যেসব যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকবে বা যাঁদের মধ্যে উপসর্গ লক্ষ্য করা যাবে, তাঁদের অবিলম্বে কোভিডের জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হবে। তাঁদের রিপোর্ট পজেটিভ এলে, সংক্রমণ রুখতে তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করা হবে৷
• বিমানবন্দরের ফর্মে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশে’ র নাম৷ ভারতের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় মোট ১৯ টি দেশ রয়েছে৷ এসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
• শুধু আকাশপথে ভারতে আসা যাত্রীদের জন্যই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না৷ সড়কপথে যাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে প্রবেশ করবেন, তাঁদের জন্যেও একই নিয়ম বরাদ্দ হবে।
• উল্লেখ্য, ৫ বছরের কমবয়সিদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয় বলে গাইডলাইনে বলা হয়েছে৷
অন্যদিকে, দেশের মধ্যে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর টেস্টের প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ লাগবে না কোভিড রিপোর্ট৷ কোভিড রিপোর্ট ছাড়াই ভিন রাজ্যে যাওয়া যাবে৷