এইমুহুর্তে রাজ্যে উত্তাল পরিস্থিতিতে আনিস কান্ডে। ছাত্র নেতা আনিস খানের খুনের ঘটনায় আমতা থানার হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য গ্রেফতার হয়েছে। তারাই বিস্ফোরক দাবি করে বলেছিল যে, ছাত্রনেতার আমতার বাড়িতে তারা গিয়েছিল ওসির নির্দেশে! এবার সেই একই দাবি তারা করল সিট-এর কাছে। আমতা থানার তিন পুলিশকর্মীকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পরে ওই অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলেই জানিয়েছেন বিশেষ তদন্তকারী দল। কিন্তু তাতেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
পুলিশ প্রথম থেকে দাবি করে আসছিল যে, আনিসের বাড়িতে তারা কোনও পুলিশ পাঠায়নি। কিন্তু এখন ধৃতদের দাবি এবং তার ভিত্তিতে প্রমাণ বুঝিয়ে দিচ্ছে যে পুলিশ নিজেই মিথ্যে বলছে। আর এই ঘটনায় যে পুলিশের যোগ আছে তা এখন কার্যত জলের মতো পরিষ্কার। সিট সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, সেদিন যে আনিসের বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছে তা জানতেন ওই থানার ওসি। কিন্তু এখানে প্রশ্ন, ওসি এবং জেলার পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে সিট এখনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কেন? এই নিয়ে ফের একবার পুলিশের বিরুদ্ধে সরব আনিসের বাবা, দাদা, তার পরিবার।
গতকাল দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়েছে আনিসের দেহের, পরিবারের অনুমতি নিয়েই৷ এসএসকেএমের মর্গে ডিস্ট্রিক্ট জাজ এবং আইনজীবীর সামনে চলে আনিসের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত৷ সোমবার আনিসের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য করব থেকে তুলে আনতে যাওয়া হয়৷ আনিসের দেহ আনতে আমতায় পৌঁছয় সিটের আধিকারিকরা। কিন্তু আনিসের দাদা জানান, জেলা আদালতের বিচারক না এলে কবর থেকে দেহ তোলা যাবে না৷ ফলে দেহ তোলা নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়। অবশেষে ডিস্ট্রিক্ট জাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর দেহ তোলার অনুমতি দেয় আনিসের পরিবার৷ তাঁর উপস্থিতিতে দেহ তুলে আনা হয়৷ এরপর গ্রিন করিডর করে আমতার নিহত ছাত্রনেতার মরদেহ নিয়ে আসা হয় কলকাতার এসএসকেএমে।