রাজ্যের নেওয়া উদ্যোগে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

অভিনব উদ্যোগ। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ জুড়ে ‘স্টুন্ডেটস উইক’ পালন করা হবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ১ ও ২ জানুয়ারি স্কুল মারফত মিড-ডে-মিল সামগ্রী বিতরণ করা হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। তারই সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছাপত্র দেওয়া হবে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের। কিন্তু এই উদ্যোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই কী ভাবে পালন করা হবে এই ‘স্টুডেন্টস উইক’, তা এখন প্রশ্নের মুখে। এই ইস্যুতে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষা দফতরের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারা সমিতির পক্ষ থেকে ‘স্টুডেন্টস উইক’ পালন উপলক্ষে ১ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে পয়লা জানুয়ারি ও দোসরা জানুয়ারি ছুটির দিন ধার্য করা সত্ত্বেও স্কুল খুলে রাখতে বাধ্য করার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি সহ শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মীদের কাছে আবেদন জানাচ্ছে তারা যেন ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন ও ২ জানুয়ারি, রবিবার স্কুল বন্ধ রেখে সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ১ জানুয়ারি এমনই ছুটির দিন হিসেবে গণ্য হয় এবং ২ তারিখ রবিবার পড়েছে। তাই পড়ুয়া ছাড়া ‘স্টুডেন্টস উইক’ পালন করার কী মানে। সরাকারি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সমিতি সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র৷ এখন দেখার, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয় কিনা৷

প্রত্যেক জেলায় জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে স্টুডেন্টস উইক পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। ইতিমধ্যেই, রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদেরও নির্দেশিকার কপি পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, এই ‘স্টুডেন্টস উইকে’ প্রায় ২৫ হাজার পড়ুয়াকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। কিন্তু তা আদৌ এখন হবে কিনা জানা নেই। তবে এই ‘স্টুডেন্টস উইক’-এর প্রেক্ষিতে আগামী ৩ তারিখ এক অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোরে উপস্থিত থাকার কথা খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।