মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুরু হয়েছে প্রকল্প। সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে রাজ্য সরকার চালু করেছিল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। নবান্ন থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন। কিন্তু এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক হাসপাতাল এই কার্ড নিয়ে চিকিৎসা করাতে রাজি হয়নি মাঝে। রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার মতোও ঘটনা ঘটেছে। এবার জানা গিয়েছে, কমপক্ষে ২০ টি হাসপাতাল এই স্বাস্থ্যসাথী থেকে সরে যেতে পারে। কারণ তাদের বিরাট অঙ্কের বকেয়া রয়েছে।
টাকা মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকার। সরকারের কাছে পাওনা প্রায় ২০০ কোটি টাকা। যদি চিকিৎসার টাকা মেটানো না হয় তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আর পরিষেবা দিতে পারবে না তারা। এই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালের সংগঠন। ২০টি হাসপাতালের তরফে একসঙ্গে এই অভিযোগ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথীর প্যাকেজের দাম বৃদ্ধি করার আর্জি জানিয়েছে তারা।
এছাড়া চিঠিতে আরও জানান হয়েছে, রাজ্য সরকার আগে জানিয়েছিল যে, বকেয়া টাকা ২০ দিনের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি দিলেও তা মানা হচ্ছে না এখন। তাই এইভাবে আর এই কার্ডে পরিষেবা দেওয়া আর সম্ভব নয় বলেই স্পষ্ট করেছে তারা। কিন্তু সরকারের তরফে সম্পূর্ণ অন্য কথা বলা হচ্ছে। নবান্নের তরফ থেকে জানান হয়েছে যে, হাসপাতালগুলি বকেয়া অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পেয়ে যাচ্ছে। এক মাসের মধ্যে টাকা মিলছে তাদের। তাই তারা যে অভিযোগ করছে তা একেবারেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
এর আগে যখন সাস্থ্যসাথী পরিষেবা না দেওয়া দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তখন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা না দিলে বাতিল করা হতে পারে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের লাইসেন্স। অনেক বড় বড় হাসপাতাল কখনও কখনও স্বাস্থ্যসাথী করতে চায় না। কিন্তু তাদের এই পরিষেবা দিতে হবে। যদি কেউ চিকিৎসা না দেয়, তাহলে বাতিল হতে পারে লাইসেন্স।