জলপাইগুড়ির বিভিন্ন হিমঘর কান্ডে আহতদের দেখতে হাসপাতালে এলেন সাংসদ ডাঃ জয়ন্তকুমার রায়। শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এসে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। হিমঘরে আলুর বন্ড দেওয়াকে ঘিরে শুক্রবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল জলপাইগুড়ির বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঙ্গা সাহেববাড়ি সংলগ্ন গড়ালবাড়ি এলাকা। পাথর বৃষ্টি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনার জেরে পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জ করা হয়। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। রীতিমতো খন্ডযুদ্ধ বেধে যায় স্থানীয় বাসিন্দা, আলু চাষী ও পুলিশের মধ্যে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে এলাকার মানুষ। পাথর বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে পাল্টা লাঠি চার্জ করে পুলিশ। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। হাজার হাজার মানুষকে ছত্রভঙ্গ করতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে আসেন জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তিনি। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। শহর সংলগ্ন মোহিতনগর এলাকার একটি কোল্ড স্টোরেজের সামনেও ধাক্কাধাক্কি ও পদপিষ্ট হয়ে বয়স্ক মহিলা সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের সকলকেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। এদিন তাদের হাসপাতালে দেখতে আসেন সাংসদ।