শিলিগুড়ি : মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কালীপুজোর সময়ে বোয়াল মাছ ও পোলাও, ভাত, পাঁচ রকমের ভাজা, লুচি, পায়েস ভোগে দেওয়া হয়ে থাকে সেভকশ্বরী কালিমন্দিরে। সেবক পাহাড়ে জাগ্রত এই মন্দির বলেই মনে করেন ভক্তরা। মন্দিরে পুজো দিতে নানা জায়গা থেকে ভক্তরা আসেন। ১৯৫২ সালে সেবক পাহাড়ে স্বপ্নাদেশে তৈরি হয়েছিল এই মন্দির। এরপর থেকেই পূজিত হচ্ছেন দক্ষিণা মা কালী। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এছাড়াও সিকিম, কালিম্পং যাওয়ার পথেও পর্যটকেরা এই মন্দিরে পুজো দিয়ে থাকেন।
আজকের দিনে সেবকেশ্বরী মন্দিরের সামনেই একটি সরকারি অফিসে কাজ করতেন নীরেন্দ্রনাথ সান্যাল।১৯৫২ সালে নীরেন্দ্রনাথ সান্যাল স্বপ্নাদেশে পঞ্চ মন্দির আসন পান তিনি পরবর্তীতে সেখানেই মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরু করেছিলেন পুজো। মূলত তিস্তা নদীর তীরে এই পাহাড়টি অবস্থিত এই পাহাড়ের নাম সেবক এই পাহাড়ের নাম অনুযায়ী এই মায়ের নাম রাখা হয় সেবকেশ্বরী। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে এই মন্দিরে সেসময় থেকে ভক্তরা যাওয়া শুরু করে।
শিলিগুড়ির কিছু ব্যবসায়ী ও স্থানীয় কয়েকজন মন্দির বড় করেন। পাহাড়ের চূড়ায় মন্দির রয়েছে। আশপাশে বহুবার ধস নামলেও কোনও সময় মন্দিরের ক্ষতি হয়নি। মন্দিরের পুরোহিত নন্দকিশোর গোস্বামী বলেন, পুরোনো রীতিনীতি মেনেই পুজো করা হয়ে থাকে। প্রথম থেকেই বোয়াল মাছ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়। রাতভর পুজো হয়। তিস্তা থেকে ঘটে জল এনে মায়ের পুজোয় বসা হয়। আজ রাত ৯ টা থেকে পুজো শুরু হবে। সকাল থেকেই ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন মন্দিরে।