করোনার টিকাকরণ নিয়ে একাধিক মত

করোনা সংক্রমণ রোধের মূল উপায় টিকাকরণ। বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা ভাইরাস টিকাকরণ। সংক্রমণ রুখতে এটাই বড় অস্ত্র তা বারংবার বলা হচ্ছে। আপাতত করোনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের জন্য। এছাড়া ধরা পড়েছে আরও দুই-তিন প্রজাতি। এই সময় টিকা আরও বেশি দরকারি হয়ে পড়ছে। কিন্তু ঠিক এই সময়েই সকলকে টিকা না দেওয়ার পক্ষে সওয়াল তুললেন এক বিশেষজ্ঞ। বললেন, সবাইকে করোনা টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে এই বক্তব্য শুধু ইংল্যান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন তিনি।

ইংল্যান্ডের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ক্লাইভ হালে দাবি করেছেন, কোভিডকে এবার ফ্লু হিসাবে ভাবতে হবে। আর সবাইকে টিকা দেওয়া যাবে না। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর যুক্তি, অনেকের শরীরেই পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে এতদিনে। কারোর করোনা হয়ে বা কারোর টিকা নিয়ে। তাই তাঁদের আলাদা করে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। তাঁর কথায়, যাদের কঠিন অসুখ আছে, কোমর্বিডিটির সমস্যা আছে, বা যারা দীর্ঘ দিন কোনও অসুখে ভুগছেন, তাদের জন্যই শুধু ভ্যাকসিন রাখতে হবে বলে মত তাঁর। তিনি আরও বলছেন, করোনা সংক্রমণকে এখন সাধারণ ফ্লু হিসেবেই দেখতে হবে। তবে নিয়ম মেনে চলতে হবে। যারা বাড়িতে থেকেই সুস্থ হচ্ছেন তাদের আলাদা করে আর পরীক্ষা করানোর দরকার নেই।

তবে আমেরিকার রেগন ইনস্টিটিউট অব এমজিএইচ, ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের এমআরএনএ কোভিড টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরে নিতে হবে বুস্টার ডোজ, তাহলেই ওমিক্রন সংক্রমণ রুখে দেওয়া যাবে। এই গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘সেল’-এ। আরও জানান হয়েছে, দুটি টিকা নেওয়ার পর শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না যা ওমিক্রনকে শনাক্ত করে প্রতিরোধ গড়তে পারে। বুস্টার ডোজের কারণ তা সম্ভব হচ্ছে।