দেশের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশের বেশি বেশি অঞ্চলই ভূমিকম্প-প্রবণ

ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ভূমিকম্পে গিয়েছে হাজার হাজার প্রান, ছারখার হয়ে গিয়েছে তুরস্ক। ক্রমাগত বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। সম্প্রতি একাধিক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে উত্তর ভারত৷ কেঁপেছে দক্ষিণবঙ্গের মাটিও৷ দেখা যাচ্ছে, দেশের ৫৯ শতাংশ এলাকাই ভূমিকম্প-প্রবণ৷ দেখা যাচ্ছে ভারতে মোট ১০৭টি জায়গা রয়েছে, যেখানে ভূমিকম্পের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷

তথ্য বলছে, দেশের ১১ শতাংশ ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চল রয়েছে জোন ৫-এ। জোন ৪-এ রয়েছে ১৮ শতাংশ অঞ্চল। আর সবথেকে বেশি ৩০ শতাংশ ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল রয়েছে জোন ৩-এ। বাদ বাকি রয়েছে জোন ২-এ। অতীতে ভূমিকম্পের ঘটনা ও ভূমির ওঠানামা বা কম্পনের ওপর ভিত্তি করেই এই অঞ্চলগুলিকে ভাগ করা হয়েছে। মাটির তলায় কম্পনের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য ১১৫টি জায়গায় পর্যবেক্ষক রয়েছে ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি’র।

জানা গিয়েছে, সবথেকে আশঙ্কাজনক জোন ৫-এ রয়েছে শ্রীনগর, ভুজ, দারভাঙা, গুয়াহাটি, তেজপুর, সাদিয়া, পোর্ট ব্লেয়ার, মান্ডি, কোহিমা এবং জোরহাট৷ জোন ৪-এ রয়েছে কলকাতা, জলপাইগুড়ি, লুধিয়ানা, মোরাদাবাদ, পটনা, পিলভিট, শিমলা, রুরকি, অম্বালা, অমৃতসর, বাহরাইচ, বারাউনি, বুলন্দশহর, চণ্ডীগড়, আলমোরা এবং এ রাজ্যের পার্বত্য জেলা দার্জিলিংয়ের নাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলগুলি নিয়ে সমীক্ষার কথাও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে৷