চলছে বৃষ্টির মরশুম। একটু দেরি করে হলেও দক্ষিণবঙ্গেও প্রবেশ করেছে বর্ষা। বৃষ্টির দাপট কমতে চলেছে উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় সামান্য বাড়বে বৃষ্টি। কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলায় মোটের ওপর একই থাকবে তাপমাত্রা।
তবে আর্দ্রতা বাড়ায় গুমোট অস্বস্তি থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে। কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। দুপুরের পর বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝরি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দু এক পশলা ভারী বৃষ্টিও হতে পারে, তবে বিক্ষিপ্তভাবে।
একই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি ও বাড়বে বলেই জানা আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। আবার মাঝে মাঝেই দেখা মিলছে চড়া রোদেরও।
সকালের দিকে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুরে বৃষ্টি হয়েছে ১.২ মিলিমিটার।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া: এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৪৭ শতাংশ। দুর্বল মৌসুমী বায়ু থাকার কারণে বৃষ্টির ঘাটতি শুরু হয় জুন মাসের শুরু থেকেই। সেই ঘাটতি পূরণ হয়নি বরং তা বেড়েছে। আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির ঘাটতি পূরণ হবেনা বলেই জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর। উত্তরবঙ্গে আপাতত ৪ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি রয়েছে বলে জানাচ্ছে মৌসম ভবন। পাহাড়ে আপাতত বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চললেও সার্বিকভাবে বৃষ্টির দাপট কমবে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন অংশে। শুক্রবার থেকে আবারও সামান্য বৃষ্টি বাড়বে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায়।
দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যদিও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত খুবই কম।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমের দিকের জেলা অর্থাৎ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে দু’এক পশলা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে অন্য জেলাগুলিতেও।
আগামীকালের আবহাওয়া: ধীরে ধীরে উত্তরবঙ্গে কমছে বৃষ্টি প্রভাব। তবে পাহাড়ের বিভিন্ন জেলায় এখনও কিছু দিন ভারী বৃষ্টি হবে বলেই জানা যাচ্ছে। অপরদিকে দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৪৮ ঘন্টায় কিছুটা বাড়তে চলেছে বৃষ্টির পরিমাণ।