বর্ষা আসতে এখনও দেরি, মালদা জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক

এখনও দেরি বর্ষা আসতে। অথচ, ডেঙ্গি জাঁকিয়ে বসেছে মালদহে। ইতিমধ্যে জেলায় ১১৪ জন আক্রান্ত ডেঙ্গিতে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যে প্রথম স্থানে এই জেলা। গত এক সপ্তাহে জেলায় ১১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন, তাঁদের মধ্যে চার জন আপাতত মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। আজ, শনিবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে মালদহ-সহ ছ’টি স্বাস্থ্য-জেলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মালদহে প্রশিক্ষণ দেবেন রাজ্য স্বাস্থ্যকর্তাদের বিশেষজ্ঞ দল। ইংরেজবাজার পুরসভাতেও আজ, শনিবার বিকেলে ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতায় শহরের ফ্ল্যাট মালিক ও কর্তৃপক্ষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে।

গত বছর মালদহ জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক আকার নিয়েছিল। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন ৪,৪২৭ জন। যদিও মৃত্যু হয়নি কারও। পয়লা জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে ১১৪ জন। ৯-১৫ মে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কালিয়াচক ১ ব্লক ও পুরাতন মালদহ শহরে তিন জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন চার জন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গ্রামীণ এলাকায় ১,৩১৪টি ‘ভিলেজ সুপারভাইজ়ার টিম’, গ্রাম ও দুই শহর মিলিয়ে ৪১২টি ‘ভেক্টর কন্ট্রোল টিম’, দুই শহরে ৫৯টি ‘পালস মোড টিম’ ও বাড়ি-বাড়ি ঘুরে সচেতনতা ও নজরদারির জন্য ২৬৪টি দল গড়া হয়েছে। দুই পুরসভা ও গ্রামীণ এলাকা মিলে প্রায় ১৫ লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়া হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, ‘‘ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে গত বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে এ বছর একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। পরিকল্পনা করে জেলা জুড়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় জোর দেওয়া হচ্ছে।’’

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আজ, শনিবার মালদহের ইংরেজবাজার শহরের এক হোটেলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়া ও স্ক্রাব টাইফাস রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেবেন। মালদহ, দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলা এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্য-জেলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদেরও ডাকা হয়েছে।