রাজ্যে জুড়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ সেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর নাম উঠেছিল মোনালিসা দাসের৷
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই উঠে এসেছিল মোনালিসা দাসের নামে৷ কিন্তু, গত এক মাস তাঁর কোনও হদিস ছিল না৷ অবশেষে দেখা মিলল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা ও বিভাগীয় প্রধান মোনালিসা দাসের৷
এক মাস পর কাজে যোগ দিয়ে তাঁর দাবি, তিনি অসুস্থ ছিলেন৷ তাই বিদ্যালয়ে আসতে পারেননি৷ এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন৷
এদিন দুর্নীতির প্রসঙ্গ উঠলে মোনালিসা বলেন, “আমাকে ইডি তলব করেনি। ইডির নোটিসেরও প্রশ্ন নেই। আমার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অবান্তর।” যদিও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধীরা৷
মোনালিসার বিরুদ্ধে ডেপুটেশনও জমা দিয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি সৎ মানুষ, সৎ শিক্ষক, শিক্ষিত পরিবারের সন্তান৷ এদিকে ইডি-র হাতে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই মোনালিসাকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
অনেকেরই দাবি, মোনালিসাও ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’। ঘটনাচক্রে, গত ২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করেছিলেন মোনালিসা৷ তবে থেকে এই প্রথম দেখা গেল তাঁকে।
আসানসোলের গড়াইরোডে যে ভাড়াবাড়িতে তিনি থাকেন, এত দিন সেখানেও ছিলেন না বলে জানিয়েছেন বাড়িমালিক৷ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টোটো চড়ে সেই বাড়িতেই পৌঁছন মোনালিসা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজের অভিভাবক বলে দাবি করা মোনালিসার নিজের পদোন্নতি, তাঁর তত্ত্বাবধানে পিএইচডি করা ছাত্রছাত্রীদের ‘সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়া, তাঁদের চাকরির ক্ষেত্রেও ‘অনুচিত অগ্রাধিকার’ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে।
ইডি যখন অর্পিতার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে, তখন চর্চায় এসেছে মোনালিসার উত্থানও৷ এদিন অবশ্য মোনালিসা বলেন, ‘‘আমি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে কাউকে চিনি না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’