আবার নতুন করে চারিদিকে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। চিন্তা বাড়ছে চতুর্থ ঢেউ নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল জানা গিয়েছিল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। যদিও সেই সময় তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় তিনি নিজ বাসভবনেই নিভৃতবাসে রয়েছেন বলে জানা যায়। কিন্তু তার একদিনের মধ্যেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হল স্টালিনের।
জানা যাচ্ছে সকালেই চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীরে করোনার একাধিক উপসর্গ রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর ওপর সব সময় নজর রাখছেন হাসপাতালের চিকিৎসক মহল।
প্রসঙ্গত ১২ জুলাই টুইটারে বার্তা দিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নিজেই সকলকে জানিয়েছিলেন স্ট্যালিন। এদিন তিনি টুইটে লেখেন, ‘ক’দিন ধরেই খুব ক্লান্ত বোধ করছিলাম। সম্প্রতি করোনা পরীক্ষায় আমার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমি নিজেকে নিভৃতবাসে রেখেছি। আপনারা সকলে সাবধানে থাকুন, মাস্ক পড়ুন এবং ভ্যাকসিন নিন।’
উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গের মতো দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতেও বিগত কয়েক দিন ধরে লাগামছাড়া হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই দু হাজারের গণ্ডি পার করেছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার করোনার বিধি নিষেধ অমান্য করতে দেখা গিয়েছে।
দিন কয়েক আগেই সরকারি একটি অনুষ্ঠানে দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তখনও তাঁর মুখে মাস্ক ছিল না। সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতেই মাথাচাড়া দেয় বিতর্ক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও কেন করোনার বিধি-নিষেধ মানছেন না স্ট্যালিন এই প্রশ্নই ওঠে বারবার।
অন্যদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আনেন তখনও অনেকে তাঁর করোনা বিধি অমান্য করাকেই নিয়ে খোঁচা দেন। অনেকে বলেন, দেরিতে বোধোদয় হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। যদি তিনি সঠিক সময় করোনার বিধি নিষেধ মানতেন এবং মাস্ক পড়তেন তাহলে হয়তো তাকে এভাবে অসুস্থ হতে হত না।