রাজ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। একের পর এক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কুবেরের ধনকেও হার মানাবে অর্পিতার ফ্ল্যাটের ছবি৷ এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যের মহানগরীতে এলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শহরে পা রেখেই কার্যত ‘বোমা’ ফাটিয়েছেন এই বিজেপি নেতা। দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ৩৮ জন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।
কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কাণ্ড প্রথমে সেইভাবে মুখ খোলেননি বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এবার এদিন পার্থ কাণ্ড নিয়ে কথা বললেন তিনি। শুধু কথা বললেন না, বড়সড় ইঙ্গিত দিতে চাইলেন। মিঠুনের মন্তব্য নিয়ে এখন নতুন করে জল্পনা।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুই ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং আরও সম্পত্তি উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় মুখ খুলে মিঠুন দাবি করে বলেন, এই টাকা শুধুমাত্র এই দু’জনের হতে পারে না। অনেকের টাকা তাঁরা হেফাজতে নিয়ে সামলাতেন! লুঠের টাকা রক্ষা করতেন তাঁরা দুজনে।
মিঠুন চাইছেন, এখন সবকিছু স্বীকার করে নিন পার্থ এবং অর্পিতা, নাহলে তাঁদের কষ্ট বাড়বে। কেন অন্যের জন্য কষ্ট পাচ্ছেন তাঁরা, সেই প্রশ্ন তুলেও খোঁচা দেন তিনি। যদিও তাঁর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল কংরেসও। মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, অ্যালকেমিস্টের মামলাতেই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। তিনি এখন এই বিষয়ে কথা বলার যোগ্য নন।
উল্লেখ্য, তৃণমূল নিয়ে মিঠুন দাবি করেছেন, ৩৮ জন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদের মধ্যে ২১ জন নাকি সরাসরি যোগাযোগ রেখেছেন। যদিও তাঁর এই বক্তব্যকে সেইভাবে এখনও ‘সমর্থন’ করেনি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
কিন্তু মিঠুনের ‘বোমায়’ যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে তা বলাই বাহুল্য। এর সঙ্গে মহারাষ্ট্র প্রসঙ্গও নিয়েও মন্তব্য করেছেন মিঠুন। তাঁর প্রশ্ন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেছেন মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা সরকার হয়ে গিয়েছে। বাংলাতে তা হবে না কেন?