প্রায় পাঁচ মাস পরে মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরেছে মিতালী এক্সপ্রেস

প্রায় পাঁচ মাস পরে মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে এ দেশে ফিরেছে মিতালী এক্সপ্রেস। আন্তর্জাতিক সেই ট্রেনের কামরার অবস্থা দেখে হতবাক রেলকর্মী থেকে হলদিবাড়ির বাসিন্দারা। পড়শি দুই দেশের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসাবে পরিচিত এই ট্রেন। বাংলাদেশে অস্থিরতার জেরে বন্ধ হয় তার যাতায়াত। সোমবার দু’দেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই ট্রেন এ দেশে ফিরতেই তার কয়েকটি কামরার ‘বেহাল’ ছবি সামনে আসে। বুধবার হলদিবাড়ি স্টেশনে থাকা সেই ট্রেনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সব কামরা ঢেকেছে পুরু ধুলোর স্তরে। রোদ-জলে পড়ে থেকে ঝলসে গিয়েছে কামরার বাইরের রংও। ভাঙা রয়েছে কয়েকটি কামরার জানালার কাঁচও। কয়েকটি কামরার গায়ে ‘স্প্রে রঙে’ অচেনা কোনও হরফে কিছু একটা লেখা। কামরার ভিতরে যত্রতত্র ছড়ানো জলের বোতল, খাবারের উচ্ছিষ্ট। শৌচাগারে দুর্গন্ধ। যাত্রীদের সুবিধায় ‘ভিআইপি কামরায়’ রাখা খাবারের টেবিলও ভাঙা। বসার আসনগুলি আর্ভজনায় ভরা। কয়েকটি বার্থের মোড়ক ধারালো কোনও জিনিসে চিরে দেওয়া হয়েছে।

মিতালী এক্সপ্রেসের এমন হাল দেখে অবাক ওই ট্রেনের প্রথম যাত্রায় শামিল গৌতম ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘ট্রেনটি ফিরেছে শুনেই স্টেশনে দেখতে গিয়েছিলাম। যাত্রা শুরুর দিন ঝাঁ-চকচকে ছিল মিতালী। ভিতরটাও সাজানো ছিল। বাংলাদেশে এত দিন পড়ে থেকে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। খুবই খারাপ লাগছে।’’উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন, ‘‘ওই ট্রেনের কিছু ক্ষতি হয়েছে। যাত্রী পরিবহণের যোগ্য করে তুলতে এ দিন সকালে ট্রেনটিকে নিউজলপাইগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই মেরামতির ব্যবস্থা করা হবে।’’