জাপানের তরফেও, জাপানের তরফে মোতায়েন করা হচ্ছে মিসাইল

রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের মাঝে, ক্রমেই চিন্তা বাড়ছে তাইওয়ান নিয়ে৷ তাইওয়ান সীমান্তে ক্রমেই বাড়ছে চিনা তৎপরতা৷ আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর আরও বেশি করে চোখ রাঙাচ্ছে শি জিনপিং-এর দেশ৷

তাইওয়ানের আকাশে আস্ফালন দেখিয়েছে চিনা যুদ্ধবিমান৷ জল ও স্থলেও ফুঁসছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)৷ তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধের মহড়া চালিয়েছে চিনা ফৌজ। সম্প্রতি চিনের ছোড়া মিসাইল তাইওয়ানের উপর দিয়ে উড়ে এসে পড়ে জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাছে।  এই ঘটনার পরই দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল মোতায়েনের চিন্তাভাবনা শুরু করে জাপান সরকার।

সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রায় এক হাজার দূরপাল্লা বিশিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনা চলছে৷ বর্তমানে জাপানের যে সকল সারফেস টু শিপ মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, সেগুলি অধিকাংশই ১০০ কিলোমিটার পাল্লার। সেই পাল্লা বাড়িয়েই এক হাজার কিলোমিটার করার ভাবনা-চিন্তা চলছে। যাতে উত্তর কোরিয়া তো বটেই চিনের উপকূলও ওই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় চলে আসে৷

সূত্রের খবর, ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকীকরণের সঙ্গে যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণও করবে জাপান৷ যাতে দুরপাল্লার মিসাইল উৎক্ষেপন সহজ হয়ে ওঠে৷ ঠিক কোন জায়গায় এই দূরপাল্লার মিসাইল মোতায়েন করা হবে?

রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমের কুশু এলাকায় এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বা মাসাইল মোতায়েন করা হবে। এছাড়া তাইওয়ান সংলগ্ন জাপানের যে সকল ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে, সেই সব দ্বীপেও এই দুরপাল্লার মিসাইল মোতায়েন করতে পারে টোকিও।

চিনের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির পার্থক্য কমাতে এবং উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলা করতেই এই পদক্ষেপ করতে চলেছে সর্যোদয়ের দেশ। যদিও জাপানের সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

বিধ্বংসী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নিজেদের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই আবদ্ধ রেখেছিল জাপান। কিন্তু, সেনা অভিযানের নামে ইউক্রেন রাশিয়ার হামলা, তাইওয়ান নিয়ে চিনের অবস্থান আন্তর্জাতিক অস্থিরতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে৷

এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উদ্বেগে জাপান। সে জন্যেই প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বৃদ্ধির বিষয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে সরকার। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার বক্তব্যেও মিলেছে সেই ইঙ্গিত৷ আর তাই আগামী অর্থবর্ষেই বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়ে সাড়ে পাঁচ ট্রিলিয়ন ইয়েন করতে পারে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক৷ আমেরিকার মুদ্রায় যা প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার।