ভুল মন্তব্যের জেরে দেশ জুড়ে তৈরী হয়েছে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, দেশের পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে রাজ্যের ওপরেও। বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের পরেই দেশজুড়ে হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। অন্যান্য রাজ্যের মতোই বাংলাতেও একই অবস্থা। বিগত কিছুদিন ধরেই রাজ্যের একাধিক এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ এবং তাণ্ডবের চিত্র ধরা পড়েছে। আজ জানা গেল, ইতিমধ্যেই ২০০ জনকে হিংসার ঘটনায় যুক্ত থাকার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪২ টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন, রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম।
সোমবার বৈঠক করে শামিম জানান, হিংসার ঘটনায় যুক্ত এবং অশান্তি ছাড়ানোর জন্য যারা কাজ করছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের এব্যাপারে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি সকলকে অবগত করে জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ৪২টি এফআইআর রুজু হয়েছে। তার মধ্যে ১৭টি এফআইআর হয়েছে হাওড়া কমিশনারেট এলাকায়। ৯টি এফআইআর হয়েছে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায়। একই সঙ্গে পাথর ছোড়া থেকে শুরু করে গাড়ি ভাঙচুর, অবরোধ ইত্যাদি অভিযোগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে কমপক্ষে ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান শামিম।
অন্যদিকে, মুম্বই পুলিশের মতোই কলকাতা পুলিশ বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মাকে তলব করেছে। নারকেলডাঙা থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে নূপুরকে। ২০ জুনের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ এ ধারায় নোটিস পাঠিয়েছে নূপুরকে। ইতিমধ্যেই এই প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীর গ্রেফতারির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পশ্চিমবঙ্গেই এফআইআর দায়ের করেছেন তৃণমূলের রাজ্যের সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক তথা আইনজীবী আবু সোহেল। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানায় দায়ের হয়েছে এই অভিযোগ।