তালিবান দখলে সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গি সংগঠন

সদ্য মাত্র গোটা আফগানিস্তান দেশ নিজেদের অধীনস্ত করেছে তালিবানরা৷ শীঘ্রই কাবুলিওয়ালার দেশে প্রতিষ্ঠিত হবে জিহাদি সরকার৷ ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের মাটি ছেড়েছে মার্কিন সেনাও৷ অন্যদিকে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা কায়েম হতেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে শুরু পরিকল্পনা। তালিবানের শক্তিবৃদ্ধিতে নতুন করে কাশ্মীর দখলের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি৷ তালিবানকে অভিনন্দন জানিয়েছে জেহাদি সংগঠন আল কায়দা। শুধু তাই নয়, এবার ‘ইসলামের শত্রু’দের হাত থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করার জন্য তালিবানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জেহাদি সংগঠনটি। এমনকী কাশ্মীরে বড়সড় হামলার ছকও কষতে শুরু করেছে তারা৷ কাশ্মীরে লস্কর, জইশ, হিজাবুল জঙ্গিদের গতিবিধি বেড়েছে বলে সূত্রের খবর। লস্কর ও জইশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে হাক্কানি গোষ্ঠী। আফগানিস্তানে নতুন জঙ্গি নেটওয়ার্কের নাম তেহরিক-এ-তালিবান আমারত। নেটওয়ার্কের নেতৃত্বে মাসুদ আজহার। ৩০ অগাস্ট রাতে কাবুল থেকে শেষ মার্কিন বিমান উড়ে যেতেই তালিবানকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছে আল কায়দা। উদ্বেগ বেড়েছে ভারতের।

ইতিমধ্যেই তালিবান সরকারকে সমর্থন করেছে পাকিস্তান৷ তালিবানের এই বাড়বাড়ন্তে হাত রয়েছে আইএসআই-এর৷ তালিবানের সক্রিয়তা বাড়তেই ভারত পাক সীমান্তে বাড়তে শুরু করেছে জঙ্গিমূলক কার্যকলাপ৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর গত ১৫ দিনে কম করে ১০বার কাঁটা তার পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছে পাক জঙ্গিরা। এলওসি’র ওপাড়ে পাক সেনার মদতে জড়ো হতে শুরু করেছে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই মহম্মদ, হিজবুল মজাহিদিনের জঙ্গিরা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় হামলার আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা৷ জারি করা হয়েছে সতর্কতা৷ যে কোনও সময় গ্রেনেড হামলা বা ফিদায়েঁ হামলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সবার আগে জঙ্গিদের নিশানায় আসতে পারে হাই-সিকিউরিটি জোনগুলি।

সমর্থন করে বলা হয়েছে, “হে আল্লা, লেভান্ত, সোমালিয়া, ইয়েমেন, কাশ্মীর ও সমস্ত মুসলিম স্থানগুলি ইসলামের শত্রুদের হাত থেকে মুক্ত করো। বিশ্বজুড়ে সমস্ত মুসলিম বন্দিদের মুক্তি দাও।” আল কায়দার এই বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে, টুইন টাওয়ার হামলায় দোষী আল কায়দা যে ফের আফগানভূমে কার্যকলাপ বৃদ্ধি করবে তা স্পষ্ট।

এদিকে, মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়লেও, প্রয়োজনে সেখানে ফের ড্রোন হামলা চালানো হবে। আইএস খোরাসানকে হুঁশিয়ারি দিল পেন্টাগন। কাবুল হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনার মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করে পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনও ধরনের হামলার মোকাবিলা করা হবে। আইএস খোরাসানকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুঁশিয়ারি, ‘তোমাদের শিক্ষা দেওয়া এখনও শেষ হয়নি। যারা আমেরিকার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তাদের খুঁজে বের করে আমরা মারব, এর জন্য তোমাদের চরম মূল্য চোকাতে হবে।’

অন্যদিকে, এই প্রথম তালিবানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করল ভারত। দোহাতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তলের সঙ্গে তালিবানের বৈঠক হয়। বিদেশ নীতি, তালিবান সরকারের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি, আটকে থাকা ভারতীয়দের পুনরুদ্ধার নিয়েও কথা হয় বলে খবর।