বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে, মণিপাল হাসপাতাল গ্রুপের অংশ শিলিগুড়ির মেডিকা ক্যান্সার হাসপাতাল, ক্যান্সার জয়ীদের সম্মান জানাতে নিজ প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ‘বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ২০২৫’ -এর নতুন ‘ইউনাইটেড বাই ইউনিক’ প্রচার অভিযানের ক্ষেত্রে প্রথম বছর, যেখানে ক্যান্সার জয়ীরা তাদের অসামান্য লড়াইয়ের কথা ভাগ করে নিয়ে সকলকে অনুপ্রাণিত করেন। এছাড়াও, এখানে উপস্থিত ছিলেন রেডিয়েশন অনকোলজির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডঃ স্বপ্নেন্দু বসু, কনসালটেন্ট-রেডিয়েশন অনকোলজি ডঃ সৌরভ গুহ এবং কনসালটেন্ট-সার্জিক্যাল অনকোলজি ডঃ অনির্বাণ নাগ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে রেডিয়েশন অনকোলজির সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং উপদেষ্টা ডঃ স্বপ্নেন্দু বসু প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়ের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে জানান, “মেডিকাতে, আমরা এই ভুল ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে চলেছি যে ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ। যদি নিয়মিত স্ক্রিনিং এবং সময়মত হস্তক্ষেপ করা যায়, তবে প্রাথমিক পর্যায়েই এটি নিরাময় করা সম্ভব। তবে ক্যান্সার সম্পর্কে আমাদের আরও সচেতন এবং চিকিৎসার উন্নতির প্রতি আমাদের দায়বদ্ধ হতে হবে।” অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্কাই ওয়াচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ নর্থ বেঙ্গল (এসডব্লুএএন)-এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রী দেবাশীষ সরকার (ক্যান্সার জয়ী), যিনি ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দ্য ইকনমিক টাইমসে সাংবাদিকতা করার পাশাপাশি, ওকহার্ড এবং ফাইজারের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ২০১৫ সালে তিনি ডিফিউজড লার্জ বি-সেল লিম্ফোমা-এর সাথে লড়াই করে জয়ী হয়ে ফেরেন।
শ্রী দেবাশীষ সরকার, তাঁর এই অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে বলেন, “ক্যান্সার ধরা পড়া চরম বিপর্যয়ের বার্তা বয়ে আনে ঠিকই, তবে, সঠিক চিকিৎসা, সহায়তা এবং ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে ক্যান্সারের পরেও একটি স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব আমিই তার জীবন্ত প্রমাণ। আমি যদি আজ একজনকেও অনুপ্রাণিত করতে পারি, তবে আমার যাত্রা সফল বলে মনে করব।” এছাড়াও, এখানে ক্যান্সার জয়ীরা নৃত্য এবং সঙ্গীত পরিবেশনের মতো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও পরিবেশন করে। এমনকি, কিছু সারভাইভাররা তাদের এই অসাধারণ যাত্রার গল্পও সকলের সাথে ভাগ করে নেয় এবং এই রোগকে ভয় না পেয়ে সাহসের সাথে পাল্টা লড়াই চালানোর অনুপ্রেরণাও দেন। ক্যান্সারের নিরাময়ে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি মেডিকা ভবিষ্যতের জন্য নতুন আশা প্রদানের প্রয়াশও চালিয়ে যাচ্ছে।