দিন প্রতিদিন বাড়ছে আতঙ্ক, আবার ফিরছে পূর্ব চিত্র। ত্রাস বাড়ছে মাওবাদীদের। বাম আমলে মাওবাদীদের দৌরাত্ম্য ছিল চোখে পড়ার মতো। মাও হামলায় তৎকালীন শাসক দলের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মীকে খুন হতে হয়েছিল। রাজ্যে শাসক দলের পরিবর্তন হয়। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর ধীরে ধীরে জঙ্গলমহল শান্ত হয়ে উঠছিল। কিন্তু ফের নতুন করে জঙ্গলমহলে মাও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মাও আতঙ্কে ভুগছেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা। তাঁরা নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মূলত বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে নতুন করে মাও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার পাঁচ জন তৃণমূল নেতা নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন। জানা গিয়েছে, রানিবাঁধ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি চিত্ত মাহাতো পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। যদিও তাঁর ব্যক্তিগত একজন নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে। মাও আতঙ্কে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না চিত্ত মাহাতো। স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করলেও, মাও উপস্থিতি মানতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল।
গত কয়েকমাসে মাওবাদীদের তৎপরতা বেড়েছে। শাসক দল অস্বীকার করলেও এই বিষয়ে একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। গত কয়েমাসে জঙ্গলমহলের একাধিক জায়গা থেকে মাও পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল মাওবাদীরা বনধ ডেকেছিল। সেখানে বাঁকুড়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। এরপর থেকেই তৃণমূলের একাধিক নেতা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন বলে খবর।
মাওবাদীদের তৎপরতা কোনওভাবেই অবহেলা করতে চাইছে না পুলিশ প্রশাসন। কয়েকদিন আগেই জঙ্গলমহলের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ১৫ দিনের উচ্চ সতর্কতা জারি করেছিল। এই ১৫ দিন ওই এলাকায় সমস্ত পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়। এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয় বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, মাওবাদী তৎপরতা মাথায় রেখে রাজ্যপুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য রবিবার জঙ্গলমহল সফরে গিয়েছিলেন। এই সফরে তিনি পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।