লন্ডভন্ড হয়েছে বহু গ্রাম, ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে

সম্প্রতি শুরু হয়েছে বর্ষার মরশুম। মরশুম শুরু হতেই বেশ কিছু জায়গায় লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহূর্তে অত্যাধিক বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি পাকিস্তান, সৃষ্টি হয়েছে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির। লন্ডভন্ড হয়েছে বহু গ্রাম।

এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানে বন্যার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শেরি রেহমান তার টুইটারে বলেছেন, “এটি একটি জলবায়ু বিপর্যয়। অনেক জেলাকে মনে হচ্ছে যেন তারা সমুদ্রের অংশ।আমাদের হেলিকপ্টারগুলি রেশন ফেলার জন্য শুকনো জমি খুঁজে পাচ্ছে না।”

তিনি আরও যোগ করেছেন যে পাকিস্তান জুড়ে ৩০ মিলিয়নেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের পঞ্চম-জনবহুল দেশে প্রথমবারের মতো নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন যে অর্থনীতি কতটা খারাপভাবে প্রভাবিত হয়েছে তার কোনো তাৎক্ষণিক মূল্যায়ন নেই। ক্ষতির পরিমাণ তার ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে ।

পাকিস্তানে গত ৩০ বছরে এত ভয়ঙ্কর বন্যা হয়নি। হড়পা বানে ভেসে গেছে শহরের পর শহর। ৪৬ হাজারের বেশি বাড়ি বন্যার জলে ভেসে গেছে।দক্ষিণ-পশ্চিমের বালুচিস্তান প্রদেশ সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত।

সেখানে ৭০০ কিলোমিটারের অধিক রাস্তা চলে গেছে জলের নিচে। হাজার হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। অধিকাংশ জায়গাতেই বিদ্যুৎ নেই। দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। জুনে বর্ষার আসার পর পাকিস্তানে অন্তত ১,০৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বন্যা কবলিত সিন্ধু প্রদেশের এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জানান, এত বৃহৎ পরিমাণ দুর্যোগ হবে কল্পনাও করতে পারিনি।এই বছর আগস্টের গড় বৃষ্টিপাত তুলনায় আট গুন বেশি বৃষ্টিপাত হয়ছে।