প্রায় আড়াই বছর সময় পার হয়ে গেলেও করোনা সংক্রমণ এর আতঙ্ক থেকে বেরোতে পারেনি বিশ্ববাসী। মাঝে সংক্রমণ একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল, অনেকেই ভেবেছিলেন যে সুখের দিন আসছে। কিন্তু না। ফের বাড়তে শুরু করেছে দৈনিক সংক্রমণ। এর সঙ্গে রয়েছে নতুন নতুন প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত। কিন্তু এর পাশাপাশি আরও একটি বিষয় নিয়ে প্রবল আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তা হল বারবার একই ব্যক্তির কোভিড হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে দিনকে দিন। এবার তাহলে কী করণীয়, প্রশ্ন সকলের।
‘লোকাল সার্কেল’ নামের একটি সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১০টির মধ্যে ২ টি পরিবারে কোভিড হওয়ার পর ৪৫ শতাংশ কেসে ফের একবার শ্বাসকষ্টজনিত সংক্রমণ দেখা গিয়েছে এবং তা গত ৬ মাসে হয়েছে। একই সঙ্গে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ মানুষ যাদের দ্বিতীয়বার কোভিড হচ্ছে তাদের শারীরিক অবস্থা দ্রুত খারাপের দিকেই যাচ্ছে। তাই অবশ্যভাবে আতঙ্ক বাড়ছে।
সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে, গত ৬ মাসে যাদের করোনা হয়েছে তাদের মধ্যে ৪৫ শতাংশের ফের সংক্রমণ ঘটছে। কমপক্ষে ১৮ শতাংশ পরিবারে এমন সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার সাবধান করে পরামর্শ দিচ্ছেন যাতে সকলে কোভিড বিধি মেনে চলেন। টিকা না নেওয়া থাকলে যেন তারা নেন। কারণ অন্য এক সমীক্ষায় এটাও জানা গিয়েছে যে টিকা কত ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সম্প্রতি ল্যানসেট-এর তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে। তা থেকেই এই তথ্য সামনে এসেছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, টিকাকরণের ফলে সারা পৃথিবী জুড়ে ১৮৫ দেশ মিলিয়ে ১৯.৮ মিলিয়ন মৃত্যু ঠেকানো গিয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, সঠিক সময় বা আরও আগে টিকাকরণ শুরু হলে আরও বেশি মানুষকে বাঁচানো যেত। সমীক্ষা আরও বলছে, সঠিক সময়ে পৃথিবীর সব দেশের নাগরিকদের ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকার দু’টি ডোজ দেওয়া গেলে অন্তত ৬ লক্ষ প্রাণ আরও বেঁচে যেত।