সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গেছেন তিনি। বিধায়কের পরে কি এবার সাংসদরাও সঙ্গ ছাড়ছেন উদ্ধব ঠাকরের? সম্প্রতি উদ্ধবের বাসভবন মাতোশ্রীতে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে সাংসদদের অনুপস্থিতির সংখ্যা এই প্রশ্নই উসকে দিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, মহারারষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধার ঠাকরে সম্প্রতি তাঁর বাসভবন মাতোশ্রীতে শিবসেনার সংসদে নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সমস্যার সূত্রপাত সেখানেই। উদ্ধব ঠাকরের ডাকা ওই বৈঠকে মাত্র ছয় জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে লোকসভায় শিবসেনার মোট সাংসদসংখ্যা ১৯ জন।
ফলে এই অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে শিন্ডের নেতৃত্বে বিধায়কদের বিদ্রোহের পর এবার শিবসেনার বেশ কিছু সাংসদও ওই একই পথে হাঁটতে চলেছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত দলীয় তরফে কিছুই স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। এদিকে ওই বৈঠকে কেন এতজন সাংসদ অনুপস্থিত তাও এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার মধ্যে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ। তাঁদের দাবি বিধায়কের পর এবার সাংসদদের মধ্যেও বিভাজনের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। মূলত সেই কারণেই উদ্ধব ঠাকরে অনুগত সাংসদরা ছাড়া ওই বৈঠকে বাকিরা কেউ আসেননি।
জানা যাচ্ছে উদ্ধবের ডাকা এই বৈঠকে হাজির ছিলেন গজানন কীর্তিকর, অরবিন্দ সাওয়ান্ত, বিনায়ক রাউত, হেমন্ত গডসে, ধৈর্যমান, রাহুল শেওয়ালে-সহ মোট ৬ জন। বাকি আর কেউই এই বৈঠকে অংশ নেননি।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই শিবসেনার বিরুদ্ধে বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে একনাথ শিন্ডে বিজেপির সঙ্গে যুগ্ম সরকার গড়েছে। এই মুহূর্তে শিবসেনার ৪০ জন বিধায়ক এবং ১০ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।
এরপরেই কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল শিবসেনার বেশ কিছু সাংসদ এবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একনাথ পুত্র শ্রীকান্তের নামও। মূলত সেই কথা কিছুটা আঁচ করতে পেরেই মাতোশ্রীতে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকেন উদ্ধব ঠাকরে।