পড়ল ঢাকে কাঠি, ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা

শুরু হয়ে গেলো দিন গোনার পালা, অপেক্ষা আর মাত্র কটা দিনের৷ আগামী মাসের ১ তারিখেই শুরু হয়ে যাচ্ছে দুর্গাপুজো৷ বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো৷ ইউনেস্কোর সেই স্বীকৃতি উদযাপনে মেগা ব়্যালির আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার৷ সেজে উঠেছে গোটা কলকাতা৷

মহামিছিলের আগে আরও একবার ইউনেস্কোর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সংকীর্ণ বেড়াজাল টপকে দুর্গাপুজোকে সকলের মিলনোৎসবে পরিণত করার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সাত সকালে টুইট করে পুজোর এক মাস আগেই দুর্গাপুজোর ঢাকের বাদ্যি বাজিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

এদিন টুইটে মমতা লেখেন, “দুর্গাপুজো একটি আবেগ, যা সংকীর্ণ বাধার ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে৷ আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে শিল্পের মেলবন্ধন ঘটে৷ এটাই উৎসবের মাহাত্ম৷ দুর্গাপুজোকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এবং প্রত্যেকের ভালোবাসা ও শ্রমকে সম্মান দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোকে আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷”

বাংলার দুর্গাপুজোকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কো যে স্বীকৃতি দিয়েছে, তারই উদযাপন করছে রাজ্য সরকার৷ গতকাল নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এ বছর আমরা একমাস আগে থেকেই পুজো শুরু করব৷ বৃহস্পতিবার ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাব৷ কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে পদযাত্রা শুরু হবে৷”

তিনি আরও জানান, “সাতটা ওয়ার্ড ঘুরে সেই পদযাত্রা শেষ হবে রেড রোডে৷ সেখানে সকলের বসার ব্যবস্থা করা হবে৷ যাঁরা হাঁটতে পারবেন, তাঁরা মিছিলে যোগ দেবেন৷ আর যাঁরা পারবেন না, তাঁরা রেড রোডে এসে অনুষ্ঠানে সামিল হবেন৷ তবে, সকলে আসবেন৷ জাতি, ধর্ম, মতাদর্শ ভুলে সকলে দুর্গাপুজোর এই উৎসবে সামিল হবেন৷ এটাই সকলের কাছে আবেদন৷ সকলকে হয়তো ব্যক্তিগতভাবে ডাকা সম্ভব হল না৷ তার জন্য কেউ কষ্ট পাবেন না৷”

বৃহস্পতিবার বেলা ২টো নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে জোড়াসাঁকো থেকে শুরু হয় মহামিছিল। মিছিলের জন্য একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পদযাত্রায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। তত্বাবধানে দময়ন্তী সেন৷

এদিকে, মমতাকে বিঁধে এদিন টুইট করেন অমিত মালব্য৷ তিনি বলেন, দুর্গা পুজোকে ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ স্বীকৃতি উপলক্ষে পদযাত্রার আয়োজন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সত্যটি হল, এই পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনও ভূমিকা ছিল না। এটি মোদী সরকারের অধীনে একটি প্রতিষ্ঠান সঙ্গীত নাটক আকাদেমির প্রচেষ্টার কারণে হয়েছে।