মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রীর পাশে মমতা

সম্প্রতি নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে, জল্পনা চলছে মহারাষ্ট্র সরকার নিয়ে। মহারাষ্ট্রের সরকার পতনের মুখে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আর বেশি দিন এইভাবে সরকার ধরে রাখতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনার একাধিক বিধায়ক যে পরিস্থিতি তৈরি করেছেন তাতে আগামী দিনে যে বিজেপি আসছে রাজ্যে তা স্পষ্ট হচ্ছে আরও। এই অবস্থায় উদ্ধব ঠাকরের পাশে দাঁড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর জন্য সুবিচার চাইলেন এবং বিজেপিকে একহাত নিয়ে বললেন, গণতন্ত্রকে বুলডোজ করতে চাইছে তারা।

শিবসেনার বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। বৈঠকের পর রাজ্যবাসীকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, বিধায়করা যদি তাঁকে না চান, তাহলে তিনি ইস্তফা দিতে রাজি। তবে তাঁকে এসে তাদের সে কথা বলতে হবে। তিনি ইস্তফা পত্র তৈরি রেখেছেন। সেই বক্তব্যের পরেই সরকারের পতনের বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলে মমতা বলেছেন, অনৈতিক ও অসাংবিধানিক ভাবে বিজেপি মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে। এইভাবে তারা গণতন্ত্রকে আঘাত করছে। আগামী দিনে এটা সবার সঙ্গে হতে পারে। ইডি, সিবিআই এবং টাকা দিয়ে এমন করছে বিজেপি। দল ভাঙিয়ে দেশের গণতন্ত্র নষ্ট করছে তারা।

এই মন্তব্য করার পাশাপাশি তিনি উদ্ধব ঠাকরের সুবিচার চেয়ে আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আরও অনেক রাজ্যে একই ভাবে সরকার ফেলার ফন্দি আঁটছে বিজেপি। তাই সাবধান থাকতে হবে। এই প্রেক্ষিতে বিজেপিকে তাঁর খোঁচা, ওদের সমস্ত নেতা যেন সাধু। এত টাকা আসে কোথা থেকে? প্রশ্ন মমতার। তিনি আরও দাবি করেন, বিরোধিতা করলেই ইডি, সিবিআই ধরিয়ে দিচ্ছে। ভয় দেখিয়ে রাখতে চাইছে বিজেপি। একই সঙ্গে অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। ক্ষুব্ধ হয়ে মন্তব্য করেন, বন্যাবিধ্বস্ত অসমের বিলাসবহুল হোটেলে বিধায়ক কিনতে ব্যস্ত বিজেপি, কিন্তু রাজ্যের পরিস্থিতির দিকে কোনও নজর নেই।