ফের সেরার সেরা হল মমতার বাংলা। অর্থাৎ ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে সারা দেশের মধ্যে বাংলাই সব থেকে বেশি সংখ্যায় অদক্ষ শ্রমিককে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। তবুও রাজ্যের মানুষ এই প্রকল্পে কাজ করেও কেন্দ্রের কাছ থেকে সময়মতো তাদের প্রাপ্য মজুরি পাচ্ছে না। ফলে লকডাউনের জেরে রাজ্যের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে তৃণমূলস্তর থেকে চাঙ্গা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পকে হাতিয়ার করলেও, কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতায় তা ব্যর্থ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বর্ষে সারা দেশে এই প্রকল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে ১০ কোটি ১৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৮৫ জনের। এর মধ্যে শুধু বাংলাতেই এই প্রকল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে ১ কোটি ১১ লক্ষ ২১ হাজার ৮৭৪ জনের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজস্থান। সেখানে ১ কোটি ৮৭ হাজার ৫১৯ জন কাজের সুযোগ পেয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্য রয়েছে তৃতীয় স্থানে। এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পরে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের এই কর্মোদ্যোগকে আদর্শ মডেল বলে অভিহিত করেছেন। তবে কর্মসংস্থানে বাংলা এক নম্বরে থাকলেও শ্রমদিবস তৈরির নিরিখে রাজস্থানের থেকে পিছিয়ে রয়েছে। রাজস্থান যেখানে ৪২ কোটি ৩ লক্ষ ২০ হাজার ৯১৮ শ্রমদিবস তৈরি করে প্রথম হয়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে ৩৬ কোটি ৪১ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৭৬ শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে। কিন্তু গ্রামীণ এই কর্মসংস্থান প্রকল্পে অংশ নিয়েও শ্রমিকরা মজুরি পাচ্ছেন না মাসের পর মাস।
রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পের মজুরি আটকে রেখেছে। এই মজুরির টাকা আইনমাফিক কাজ শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় সরকার তা পাঠিয়ে দেয়। রাজ্য সরকারের কাছে এই টাকা আসে না।’ নবান্ন বলছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ ৫২২৮.২২ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।