রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতির অভিযোগে এর আগে ২০১৬ সালে প্রাথমিক প্যানেল বাতিল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এদিন প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ৪,২৫,০০০ পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছে, সেই নম্বর বাড়াল কে?
যাঁরা টেস্ট নিয়েছিল বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি, তাঁরা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে জানান তাঁরা এই ধরনের টেস্ট নেয়নি৷ ৪,২৫,০০০ হাজার প্রার্থীদের কোনও আ্যাপটিটিউট টেস্টই নেওয়াই হয়নি। অথচ তাঁদের প্রত্যেককে ৩থেকে ৫নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পর্ষদের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, এঁদের প্রত্যেকের টেস্ট নিয়ে নম্বর দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, যাঁরা যাঁরা এই টেস্ট নিয়েছিল বলে পর্ষদ জানিয়েছিল তাঁরা প্রত্যেকেই জানান, তাঁরা কেউই এই টেস্ট নেয়নি। মূলত চক, পেনসিল, ব্ল্যাকবোর্ড ব্যবহার করেই অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়। শুধু প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নয়, একাধিক চাকরির পরীক্ষাতে এই ধরনের টেস্ট নেওয়া হয়ে থাকে। শিক্ষকের চাকরির ক্ষেত্রে এই টেস্টের মাধ্যমে মূলত তাঁর পড়়ানোর স্বাভাবিক দক্ষতাটি যাচাই করে দেখা হয়। অভিযোগ, এই পদ্ধতি বাদ দিয়েই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে৷