বরাবরই তিক্ততার সম্পর্ক চীন ও ভারতের। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ চলছিল ভারত ও চিনের মধ্যে। লাদাখ সীমান্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ ক্রমাগত ড্রাগনের উষ্ণ নিঃশ্বাস৷ সীমান্ত শক্তি বাড়াচ্ছে চিন৷ ভারতের সিদ্ধান্তে সেই চিনই এবার ভুগতে পারে খাদ্য সংকটে৷ দেশের অভ্যন্তরে চালের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ও যোগান বজায় রাখতে নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভাঙা চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷
রিপোর্ট বলছে, এর ফলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে চিনকে। মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে খাদ্য সংকট পড়তে পারে শি জিংপিন-এর দেশ৷ ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি ভাঙা চাল আমদানি করে চিন। চাল রফতানি বন্ধ করা হলে সে দেশে হু হু করে বাড়তে পারে খাবারের দাম৷ কারণ, এই ভাঙা চাল থেকেই নুডুলস, ওয়াইন এবং পশু খাদ্য তৈরি করে থাকে বেজিং। চিন ছাড়াও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশও নয়াদিল্লির কাছ থেকে ভাঙা চাল কেনে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের সবচেয়ে বড় ভাঙা চালের খরিদ্দার হল চিন৷ ২০২১ -এ ভারত থেকে মোট ১.১ মিলিয়ন টন ভাঙা চাল চিনে রফতানি করা হয়েছে। যদিও চিনে মোট চাল রফতানির পরিমাণ ২১.৫ মিলিয়ন টন৷ চাল রফতানিকারক দেশের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও আমেরিকা। তবে ভারতের মোট রফতানি এই চারটি দেশের মোট রফতানির চেয়েও বেশি। ফলে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ববাজারে বাড়তে পারে চালের দাম৷