আন্দোলন চলছে দীর্ঘ দিন ধরে৷ সেই লড়াই যেন এতদিনে সফল হল৷ আদালতের নির্দেশে চাকরির ডাক পেলেন ৬৫ জন যোগ্য প্রার্থী৷ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের জায়গায় ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক হিসাবে ৬৫ জনকে নিযুক্ত করা হবে৷ সুপারিশপত্র দেওয়ার জন্য ডাকা হল তাঁদের৷ প্রসঙ্গত, এই ৬৫ জন প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন।
এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে এসএসসির তরফে কলকাতা হাই কোর্টে একটি হলফনামা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ডেটাবেস অনুসারে র্যাঙ্ক জাম্পিং করে ১৮৩ জন সুপারিশপত্র পেয়েছেন। তিনি আরও জানান, জেলা শিক্ষা বিভাগের ডিসট্রিক্ট ইনস্পেক্টর-দের থেকে তথ্য নিয়ে জানা গিয়েছিল, এই ১৮২ জনের মধ্যে ১০২ জনই ‘অযোগ্য’ প্রার্থী৷ তবে তাঁরা কেউই চাকরিতে যোগ দেননি। আদালত মেধাতালিকা মেনে ওই শূন্যপদেই নিয়োগের নির্দেশ দেয়।
এদিন সকাল থেকেই প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে পৌঁছে যান চাকরি প্রার্থীরা। শুরু হয়েছে কাউন্সেলিং। এদিন মূলত স্কুল বাছাই করছেন তাঁরা। ৬৫ জনই চাকরি পাবেন বলে জানা গিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা অবশ্য বলছেন, চাকরি দিল দেশের আইন৷ সরকার নয়। প্রায় ৬৬৩ দিন আন্দোলনের পর চাকরি মিলছে বলে দাবি করেছেন অনেকেই৷