রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও এখনো বিপদ কাটেনি। এখনও সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যে লকডাউন চলছে। কিন্তু ১৫ জুলাই এর পর লকডাউন খুলবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, নিয়ন্ত্রণের আগল একেবারে খুলে দিলে সংক্রমণের নিম্নমুখী রেখা আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, পড়শি রাজ্য ওড়িশা ও ত্রিপুরায় সংক্রমণের রেখচিত্র নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে নিয়ন্ত্রণ বিধির ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্য সরকার এই সব দিক খতিয়ে দেখতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। গত পাঁচ দিনে রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা ওঠাপড়া করেছে। ৮ জুলাই সংখ্যাটা ছিল ৯৯৫। ৯ তারিখে সেটা কমে হয় ৯৯০। কিন্তু ১০ জুলাই ফের তা পৌঁছে যায় ৯৯৭-এ।
গত ২৮ জুনের পর্যালোচনায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল করেছিল রাজ্য। তাতে আর্থিক গতিবিধি কিছুটা হলেও চালু হয়েছে। বস্তুত, গত ২৮ জুন রাজ্যে এক দিনে ১৭৬১ জন সংক্রমিত হন। সেই দিক থেকে এখনকার পরিস্থিতি তুলনায় অনেকটা ভাল। ফলে এ বার ট্রেন চলাচলে অনুমতি দেওয়া হবে কি না, তা-ও রয়েছে জল্পনার মধ্যে। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের একাংশও বলছেন, মনে রাখতে হবে, তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই করোনা বিধি উপেক্ষা করলে যে-কোনও সময়ে বিপদ ফের আসতেই পারে। গত বার কিছু নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা হলেও স্থানীয় স্তরে ‘কন্টেনমেন্ট’ বা ‘মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট’ বিধি চালু রয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার আগে একাধিক বার ভাববে নবান্নের শীর্ষ মহল।