ঋষিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন লিজ

নিজ পদে ইস্তফা দিয়েছেন বরিস জনসন। চলছে নির্বাচন, নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে যুক্তরাজ্যে। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের পর থেকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষির নামই বারবার সামনে এসেছে।

তবে একের পর এক অবিশ্বাস্য লড়াই জেতার পরেও একেবারে শেষ পর্যায়ে পিছিয়ে গেলেন ঋষি সুনাক। বরিস জনসনের পর ভারতীয় বংশোভূত এই রাজনীতিবদই ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এতদিন পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন।

ফলে তাকে নিয়ে ব্রিটেন তো বটেই আমাদের দেশের মানুষের উত্তেজনাও কম নয়। কারণ ঋষি যদি ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন তাহলে তৈরি হবে ইতিহাস। এই প্রথম ব্রিটেনের মসনদে বসবেন ভারতীয় বংশোভূত কোনো রাজনীতিবিদ।

তবে সম্প্রতি ঋষি জানিয়েছেন, জনপ্রিয়তার দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বি লিজ ট্রাসের থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। ফলে নির্বাচনে তিনি হেরে যেতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন। এর সঙ্গেই তিনি দেশবাসীর সমর্থনের আবেদনও জানিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, জনসনের অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন বেশকিছু অর্থনৈতিক মতবাদের সঙ্গে জড়িয়েছিল ঋষির নাম। আর সেই মতবাদের কারণেই ক্রমে সাধারণ মানুষের আস্থা হারাচ্ছেন তিনি। এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছেন ট্রাস এবং জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনি ঋষিকে টপকে গিয়েছেন।

উল্লেখ্য ব্রিটেনের মসনদ পরবর্তীতে কার হবে সেই নিয়েই বিগত এক মাস ধরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে ট্রাস এবং ঋষির মধ্যে। যদিও তাঁরা ছাড়াও ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে সামনে এসেছিল আরো বেশ কয়েকটি নাম।

কিন্তু কয়েক দফার ভোটাভুটি শেষে এখনও পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন ঋশি সুনাক এবং লিজ ট্রাস। আগামী দিনে কনজারভেটিভ পার্টি সদস্যদের ভোটে তাঁদের মধ্যেই কেউ দখল করবেন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের মসনদ। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হবে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীতে দৌড়ে পিছিয়ে পড়া নিয়ে মন্তব্য করলেন ঋষি।

জানা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার একাংশেরও মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন ট্রাস। ঋষি এবং লিজের লড়াই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব বিন ওয়ালাস দাবি করেছেন, ঋষি জণসনের মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য যিনি প্রকাশ্য বিদ্রোহ ঘোষণা করে জনসনের পতন নিশ্চিত করেছিলেন।

মূলত সেই কারণেই সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার একাংশও ক্রমে ঋষির উপর ভরসা হারাচ্ছেন। আর সেই কারণই জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ভোটের দিক থেকেও পিছিয়ে পড়ছেন ঋষি। তবে এখনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। হাতে রয়েছে একমাসেরও বেশী সময়। সেক্ষেত্রে ব্রিটেনের ক্ষমতা কার হাতে যাবে সেই উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর।