এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন বহু তরুণীর ‘হার্টথ্রব’৷ তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন অনেকেই৷ তাঁর মিষ্টি হাসি, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা অনেককেই আকৃষ্ট করেছে৷ প্রেম নিবেদন করে হোয়াটসঅ্যাপে অজস্র এসএমএস-ও এসেছে তাঁর কাছে৷ আর এই মেসেজ থেকেই স্পষ্ট, তিনি কতটা জনপ্রিয়৷ বিশেষ করে তাঁর এই জনপ্রিয়তা তরণীদের মধ্যে৷ তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব জানিয়ে প্রায় ৪৪ হাজার এসএমএস এসেছিল৷ তিনি আর কেউ নন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব৷ সেই তেজস্বীই এবার বিয়ের পিড়িতে বসতে চলেছেন৷ কিন্তু পাত্রী কে?
দিল্লিতে তেজস্বীর এনগেজমেন্ট পার্টি৷ তবে কার সঙ্গে যাদব পরিবারের ছোট ছেলে বাগদান সারতে চলেছেন সে সম্পর্কে কোনও তথ্য জানা যায়নি৷ বলা যায়, পাত্রী পরিচয় নিয়ে মুখে কুলুক এঁটেছে যাদব পরিবার৷ এদিকে বাগদানের মহানুষ্ঠান সম্পন্ন করতে গতকালই তেজস্বীর সঙ্গে দিল্লিতে পৌঁছে যান লালুপ্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ ও মেয়ে মিসা ভারতী। দিদি মিসার বাড়িতেই হবে ভাই তেজস্বীর বাগদানের অনুষ্ঠান। জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠানে যাদব পরিবারের ঘনিষ্ঠ প্রায় ৫০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ তেজস্বীর ইচ্ছাতেই নাকি ছোট করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷
লালু ও রাবড়িদেবীর ৯ সন্তানের মধ্যে ৮ জনেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ একমাত্র অবিবাহিত ৩২ বছরের তেজস্বী৷ ফলে যাদব পরিবারের কাছে ছোট ছেলের বিয়ে খুবই উল্লেখযোগ্য। বিয়ে নিয়ে উচ্ছ্বসিত তেজস্বীর বোন রোহিনী আচার্যও৷ এদিন সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘এবার ভাইয়ের মাথাতেও বিয়ের পাগড়ি উঠবে।’ তবে শুধু যাদব পরিবার নয়, তরুণ তুর্কি তেজস্বীর বিয়ে নিয়ে সমান ভাবে উচ্ছ্বসিত আরজেডি’র সদস্যরাও৷ দলের বিধায়ক তথা বিহারে আরজেডি’র প্রধান মুখপাত্র ভাই বীরেন্দ্র বলেন, ‘গোটা বিহার তাঁদের প্রিয় নেতার আনন্দের মুহূর্তকে ভাগ করে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে৷’