রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর, কুন্তলের দাবি, তাঁর সঙ্গে যোগ ছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেক্রেটারির হাত দিয়ে ১৫ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রীকে৷ ইডি-র জেরায় বিস্ফোরক কুন্তল৷
তাঁর দাবি, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। তবে একসঙ্গে এই টাকা দেননি। কখনও নাকতলার অফিসে, কখনও শপিং মলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করতেন কুন্তল। তাঁর হাত দিয়েই টাকা পৌঁছে দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে৷ ধরা পড়ার পর থেকেই বারবার চক্রান্তের কথা উল্লেখ করেছেন হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ৷
হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এই শান্তনুর হুগলি বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েই ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডের ফটোকপি উদ্ধার হয়েছে। ইডি’র অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করার জন্যও ওই ফটোকপিগুলি নেওয়া হয়েছিব। ওই চাকরিপ্রার্থীরা প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন কি না, তা জানতেই ফের শান্তনুকে জেরা করতে চান ইডি’র গোয়েন্দারা৷