রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন দু’জনে। এই দুই ব্যক্তিই হলেন তৃণমূল যুবনেতা। সেই কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবশেষে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস। দু’জনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনটাই জানালেন শশী পাঁজা এবং ব্রাত্য বসু।
গ্রেফতারির দেড় মাস পর কুন্তলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল ঘাসফুল শিবির, আর গ্রেফতারির পাঁচ দিন পর শান্তনুর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হল দলের তরফে। এদিন সম্মেলনে শশী পাঁজা বলেন, দলের কোনও পদে থেকে যদি কেউ দুর্নীতি করে তার দায় গোটা দল নেবে না। সেই দুর্নীতির দায় পদে থাকা ব্যক্তিকেই নিতে হবে। অন্যদিকে ব্রাত্য বসু বলেন, আসলে তাঁদের ‘অপরাধ’ যে তারা তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করতে পেরেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বাংলায় আছে।
এই প্রেক্ষিতেই ব্রাত্য বলেন, তারা অসহায় বোধ করছেন এবং আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রেই তাঁর অভিযোগ, গণমাধ্যমও একটা দিকের কথাই লিখছে, দুটো দিক তুলে ধরছে না। যদিও অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে দল কী ভাবছে তা এদিন স্পষ্ট হয়নি।