বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে খবরের শিরোনামে রয়েছে ত্রিপুরা। রাজ্যের শাসক শিবিরের মূল লক্ষই এখন ত্রিপুরা। কিন্তু যতবার একাধিক কর্মসূচি করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ততবারই পেয়েছে বাধা। প্রত্যেকেবার তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা থেকে শুরু করে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ সবই চলছে। এবার জানা গেল, এই রকমই পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মাঝে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এখন হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে আগরতলার স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। সঙ্গে রয়েছেন ত্রিপুরার দলের কর্মী, সমর্থকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কুণাল ঘোষের রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটা নেমে গিয়েছে হঠাৎ করে। তাতেই তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। তাই হাসপাতালে তাঁর বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। রক্তচাপেরও হেরফের হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। এই মুহূর্তে কুণাল ঘোষের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে সেখানকার কর্মী, সমর্থকরা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু সহ আরও অনেকেই বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ত্রিপুরায় একাধিক কর্মসূচি চালাচ্ছেন। এই প্রেক্ষিতে তাঁদের সঙ্গে ত্রিপুরার বিজেপি কর্মীদের হাতাহাতি, সংঘর্ষ পর্যন্ত হয়। এমনকি থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়ান কুণালরা। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তখনই কুণাল ঘোষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা পুলিশের তরফে মূলত একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়। সেই মামলার কারণেই আগরতলার থানায় হাজিরা দিতে যান কুণাল। সেখানেই ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ চলার পর হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৫ তারিখ রবীন্দ্র ভবন থেকে চৌমোহিনী পর্যন্ত পদযাত্রা করার কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ কিন্তু পুলিশ অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির কথা বলে তৃণমূলের সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে দেয়। এর পর তৃণমূলের তরফে ১৬ তারিখ পদযাত্রা করার অনমুতি চাওয়া হয়৷ সেটাও মেনে নেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ। বলা হয় বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন ফোর্সের সমস্যা হবে৷ এর পর ফের ২২ সেপ্টেম্বর পদযাত্রার করার অনুমতি চাওয়া হয়৷ এবং শেষমেষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতারা৷ কিন্তু সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হল তাঁদের৷ আগরতলায় আগামীকাল হচ্ছে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল৷ জানিয়ে দিয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট৷