জল্পনা চলছিল চেয়ারম্যান পদ নিয়ে, জল্পনার মাঝেই প্রকাশ্যে এসছিল নাম। বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে দ্বায়িত্ব নিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত ওই বিধায়ক মুকুল রায়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
গত ২৮ জুন শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মুকুল রায় পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন। এর পরে কৃষ্ণ কল্যাণীকে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তিনি। তবে তাঁকে নিয়েও যে বিতর্ক সৃষ্টি হবে বলাই যায়। এখন দেখার বিজেপি কী অবস্থা নেয়।
সম্প্রতি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্য করা হয়েছিল কৃষ্ণ কল্যাণীকে। তখন থেকেই জল্পনা ছিল যে তিনি প্যাক চেয়ারম্যান হতে পারে। আজ সেই জল্পনাই সত্যি হল। কিন্তু মুকুল রায়কে নিয়ে যে যুক্তি দিচ্ছিল বিজেপি সেই একই যুক্তি দিয়ে এবারেও বিরোধিতা করা হতে পারে। বিজেপির পরিষদীয় দলের তরফে দাবি তোলা হয়েছিল, পিএসি চেয়ারম্যানের পদ বিরোধীদেরই প্রাপ্য।
আর মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দিয়েছেন। তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আদালত পর্যন্ত গিয়েছে বিজেপি। কিন্তু সব শেষে এটাই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে তিনি বিজেপিতেই আছেন। এবার কৃষ্ণকে নিয়েও একই তরজা। তিনিও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন ঠিকই কিন্তু তিনিও এখন বিধায়ক।
একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রতীকে রায়গঞ্জ থেকে জিতলেও পরে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণ৷ মুকুলের দলত্যাগ-বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজের আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে অধ্যক্ষের কাছে। বিজেপি পরিষদীয় দল আগেই ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল যে, মুকুলের মতো আরও এক ‘দলবদলু’ নেতাকে পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হলে, তারা সেটা মানবে না। এখনও আবার সংঘাতের আবহ।